Stro আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ ৪র্থ সংখ্যা r ger করিয়াছেন যে, উদ্ভিদ জাতি সংজ্ঞাহীন নহে। এক প্রকার মাংসাশী বৃক্ষ নাকি নিকটে জীব আসিলেই শাখাপল্লব আম্ফালন করিতে থাকে। আমরা দেখিয়াছি, যে স্থানে পাজ পোড়ান হয়, তাহার সন্নিহিত স্থানে অবস্থিত ( দগ্ধ না হয় এইরূপ দুরে অবস্থিত) লতার ডগা গুলি পাজার বিপরীত দিকে ফিরিয়া যায়। এই সকল দেখিয়া শুনিয়া Fechner প্রভৃতি জীবতত্ববিদ পণ্ডিতগণ উদ্ভিদগণের অতি ক্ষীণ চৈতন্য-বোধের ও উদ্ভিদ আত্মার ( vegetal soul ) অস্তিত্ব স্বীকার করিয়াছেন। প্রাচীন হিন্দুদিগের মতের সহিত এই মতের বিশেষ সোসাদৃশ্য আছে। পার্থকের মধ্যে এই যে, হিন্দুদিগের বিশ্বাস, জীবাত্মা কর্ম্মানুসারে উদ্ভিদ-যোনিও প্রাপ্ত হইয়া থাকে। তখন ইহার চৈতন্য তমো গুণে আবৃত হওয়াতে মোহাচ্ছন্ন ও জড়ীভূত হইয়া পড়ে। বৈজ্ঞানিকগণ ইহা একেবারেই স্বীকার করেন না । তঁহারা বলেন, উদ্ভিদাত্মা উদ্ভিদের দেহের সহিত নষ্ট হইয়া যায়। আর এক শ্রেণীর বৈজ্ঞানিকরা বলেনGfTin S fra GCSI effÅs efan S REEG) (consciousness) AfB i তাহাদের উপযুক্ত ভাবাভিব্যক্তির লক্ষণ সংজ্ঞা-দ্যোতক নহে-চেতনাবোধের সহিত উহার কোনও সম্পর্কই নাই। মানুষের হৃদ-স্পন্দন, রক্তসঞ্চালন, প্রভূতি যান্ত্রিক ক্রিয়া যেমন প্রাকৃতিক নিয়মবশেই মানবের অজ্ঞাতে সংঘটিত হয়, ইহাও অনেকটা সেইরূপেই সংঘটিত হইয়া থাকে। ঐ কার্য্যগুলি কতকটা যন্ত্রের কার্য্যের ন্যায় সম্পাদিত হয়। জড়বাদীরা প্রায় সকলেই শেষোক্ত মতেরই সমর্থনা করিয়া থাকেন । আর এক কথা, সর্বজীবে সংজ্ঞার অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া লইলে বিবর্ত্তনvi ( Theory of evolution) vs (2iS for first5ntire (Theory of natural selection ) বুক অনেকটা সহজ হইয়া পড়ে। সেই জন্য কোন কোন বৈজ্ঞানিক সৰ্বজীবে সংজ্ঞার অস্তিত্ব মানিয়া লইয়া থাকেন। কথাটা পরে একটু বিস্তৃতভাবে আলোচনা করিব ইচ্ছা রহিল। ফলে উদ্ভিদ ও নিয় শ্রেণীর তির্য্যক প্রাণিগণের চেতনাবোধ আছে কি না,- এ সম্বন্ধে এখনও কোনও মতই সর্ববাদিসম্মতিক্রমে পরিগৃহীত হয় নাই। এই ব্যাপারটি একটি বিষম সমস্যা। স্বল্পবুদ্ধি মানবের পক্ষে ইহার সমাধান সম্ভব হইবে কি না, কে বলিতে পারে ? পুর্বে যে ‘জৈব উপাদানের” কথা বলা হইয়াছে, তাহা দুই দিকে বিকাশ লাভ করিয়াছে। এক দিকে উহা সামান্য, অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম উদ্ভিজ্জাণু
