পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እbሙ আর্য্যাবর্ত্ত । •य वर्द->म ज९थn। পরিবর্তন । ষষ্ঠ হইতে নবম গুরুর সময়ে মুসলমানদিগের সহিত শিখদিগের ঘোর বিরোধ বাধিয়া উঠে। ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ সশস্ত্ররক্ষিপরিবেষ্টিত হইয়া থাকিতেন । যাহা হউক, মুসলমানদিগের সহিত সংঘর্ষে ও মুসলমানদিগের উৎপীড়নে শিখজাতির সার্ব্বজনীন ভ্রাতৃভাব ঐকটু ক্ষুঃ হস্ট্রিয়া পড়ে । নবম গুরু টেগ বাহাদুরই আরঙ্গজেবের সময়ে ভারতে যুরোপীয়গণের অধিকার- ' কথা ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া যায়েন। এই টেগ বাহাদুরের পুত্র গুরু গোবিন্দ সিংহ শিখজাতির ইতিহাসে নুতন যুগের। প্রবর্ত্তনা করিয়া গিয়াছেন। ইনি শিখদিগকে সামরিক জাতিতে পরিণত করিয়া যায়েন । ইনি শিখদিগের মধ্য হইতে খালসা ( বিশুদ্ধ) নাম দিয়া একদল সেনা গঠিত করেন। ইহার পূর্বে শিখধর্ম্মগ্রহণকালে সকলকে শিখগুরুর পাদোদক পান করিতে হইত ; গুরু গোবিন্দ সিংহ এ ব্যবস্থা পরিবর্ত্তিত করিয়া তাহার স্থানে “পহুল” প্রথা প্রবর্ত্তিত করেন। সে প্রথা এইরূপ ; গুরু তাহার পাঁচুজন ভক্ত ও বিশ্বাস্ত অনুচরকে পাশাপাশি উপবেশন করান। তাহার পর কিয়ৎপরিমাণে শোধিত চিনি বা গুড় এক পাত্রস্থ জলে নিক্ষেপ করা হয়। ঐ জল একখানি তরবারি দ্বারা আলোড়িত করিয়া ভগবানের নাম উচ্চারণ পূর্ব্বক উক্তার কিঞ্চিৎ পান করা হয় এবং কিঞ্চিৎ মস্তকে ও গাত্রে ছিটাইয়া দেওয়া হয়। এই মন্ত্রপূত জল পান করিলেই শিখধর্ম্মে দীক্ষাগ্রহণ হয়। ইনি শিখদিগকে ককারাদি পাচটি দ্রব্য সর্ব্বদা সঙ্গে রাখিতে বলিয়া যায়েন। সেই পাঁচটি ককারাদি পদার্থ ;-( ১ ) কেশ ; শিখগণ দীর্ঘ কেশ রাখিয়া থাকেন। (২) কাজঘা বা কঁাকুই ; চিরুণী, শিখগণ মস্তকে চিরুণী রাখিয়া থাকেন ; (৩) কৃপাণ ; (; ৪ ) কাছ ; এবং (৫) কড়া বা লৌহবলয়। অস্ত্রশিক্ষাই শিখদিগের গুরু-উপদিষ্ট ধর্ম্ম। যে সকল শিখ গুরুগোবিন্দের মতে এই সকল অনুষ্ঠান করেন, তাহারা সিংহ নামে অভিহিত । ইহাদের আর একটি নাম “খালসা” । যাহারা গুরুগোবিন্দের সমস্ত আদেশ পালন পূর্বক সামরিক কার্য্যে আত্মনিয়োগ করেন না, সেই সকল শিখ সহিজদারী নামে অভিহিত । গুরুগোবিন্দ সিংহ “দশওয়েন পাদশাহী’ নামক আর এক খানি শিখধর্ম্মগ্রন্থ প্রণয়ন করেন। গুরুগোবিন্দ মৃত্যুকালে বলিয়া যায়েন যে, আর