কান্তক, ১৩১৭। পরলোকগত চন্দ্রনাধ বস্তু। 88ዓ সুখে ধৈর্য্য, ক্রোধে ক্ষমা, প্রতিহিংসার মার্জনা আনিয়া দেয়। চন্দ্রনাথ বাবুর Optimism or 33riarter geal ef; its Qt 4: Optimism c. তঁহাকে পুত্রশোক পর্যন্ত বিচলিত করিতে পারিত না। ধর্ম্ম প্রাণ হিন্দু এই পরলোকের ছায়ায় চিরসত্ত্বনা লাভ করে । চন্দ্রনাথ বাবুর পরলোকে বিশ্বাস কিরূপ জীবন্ত ও আন্তরিকতাপূর্ণ, তাহাৰ্তাহার ‘পৃথিবীর সুখ দুঃখের ভূমিকা পাঠ করিলে বুঝিতে পারা যায়। নিষ্ঠাবান হিন্দু তাহার পরলোকগত কন্যাকে সম্বোধন করিয়া যে কয়েক ছত্র লিখিয়াছেন, তাহ পাঠ করিলে অশ্র সংবরণ করা যায় না । এমন প্রগাঢ় বিশ্বাস কি সহজে মিলে ? যে দিকে তিনি চাহিয়াছেন, সেই দিকে বিশ্ব তাহার সুষমাসম্ভার লইয়া তাহাকে দর্শন দিয়াছে। তিনি কোন জিনিষের ভাল দিক দেখিতে পাইলে কখনও তাহার মন্দ দিকটা দেখিতে চেষ্টা করিতেন না । তঁহার বিশ্বাস ছিল, ঈশ্বর সবই ভালর জন্য করেন। তিনি এই আশায় ও বিশ্বাসে শেষ পর্যন্ত সুখী ছিলেন। ‘পৃথিবীর সুখদুঃখের প্রতি পৃষ্ঠায় তাহার এই আত্মতৃপ্তির পরিচয় পাওয়া যায়। যুরোপীয় সমাজ পরলোককে দূর হইতে দূরে নির্বাসিত করিতেছে, কাযেই ইহকাল লইয়া মত্ত হইয়া আছে। হিন্দু কখনও ইহকালের পার্থিব পন্থায় তৃপ্তিলাভ করিবে না। তিনি বলেন, “যদি মরিতেই হয়, তবে পরকাল লইয়া মরা অপেক্ষা ইহকাল লইয়া মর্যায় মনুষ্যের অনিষ্ট, অপমান ও অগৌরব অনেক অধিক।” (কঃ পন্থা-১৩ পৃষ্ঠা)। হিন্দু পরকালের পন্থা ধরিয়া দরিদ্রভাবে চলিয়াছে, যুরোপ ও আমেরিকা ইহাকালের পন্থা ধরিয়া অতুল ঐশ্বর্য্য সম্পদের অধিকারী হইয়াছে, কিন্তু পরিণামে হিন্দুই জয়লাভ করিবে। এইস্থানেই চন্দ্রনাথ বাবুর Idealism এই কল্পনায় প্রতিভাত উন্নতি ও গৌরবের রাজ্য বাস্তব হইতে র্তাহার মনকে আকর্ষণ করিয়া লইয়াছিল। তাই তিনি দোষানুসন্ধান না করিয়া বলিয়াছেন ঃ-উত্তিষ্ঠত, জাগ্রত, প্রাপ্যবরান নিবোধত। আমাদের যে সহস্ৰ ক্রীট, সহস্র অপরাধ তাহা মার্জনা করিয়া তিনি আধ্যাত্মিক জ্ঞানগৌরব মণ্ডিত বাঙ্গালী জাতির একখানি সুস্পষ্ট সুন্দর মুর্ত্তি আমাদের চক্ষুর সমক্ষে ধরিয়াছেন। চন্দ্রনাথ বাবুর মূল কথাগুলির আলোচনা করিতে কিঞ্চিৎ চেষ্টা করিয়াছি। আরও অনেক কথা বলিবার ছিল। কিন্তু প্রবন্ধ বিস্তৃত হইয়া যাইবে । ভয়ে সে কথাগুলি বলা হইল না । চন্দ্রনাথ বাবুর পুস্তকগুলির সমালোচনা BiDD DBBD DBB DS SDBDDD BB DDDDB BDD BsBBDBS gL LDYB BBD DB DDBDB DB D BS D DDB DB LgED BB
