পাতা:আশ্চর্য্য প্রদীপ - গিরীশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃপ্ত। ] भi । &సి কাল। কৈ ? বন্ধন কৈ ? ফুল্লরা ! তোমরা যে বন্ধনের চেষ্ট৷ কচ্চিলে—তার কাছে এ বন্ধন তো অতি তুচ্ছ ! মমতার ডোবে প্রাণেব বন্ধন—মায়ারঞ্জ তে সংসারের বন্ধন— আর সামান্ত লৌহের শিকলে দেহের বন্ধন—এতে যে স্বর্গমর্ত্য প্রভেদ ! এ বন্ধন একদিন সহজে ছিড়তে পারবো । কিন্তু ও বন্ধন যে মরণ পর্য্যন্ত সঙ্গের সার্থী হবে ! ও বন্ধনের চেয়ে এ বন্ধন ভাল ! ভা। ও কোটাল মশায় ! শেকলের বন্ধন ছিড়তে চায় যে ! বেস ক’রে বাধ—আচ্ছা ক'রে বেঁধে ফেল । দুই ইটুতে কমুয়েতে এক সঙ্গে করে, কোমরের সঙ্গে হাতির শিকল দিয়ে, মোড়ম্বা ক’রে বেঁধে ফেল ! খুব এটে বাধ,—গলায় আচ্ছা ক’রে জিঞ্জির লীগাও ! লাগিয়ে, কোমরের শেকলে এটে দিয়ে, দুই হাতে হাতকড়ি পরিয়ে, দোরস্ত ক'রে নিয়ে চল । স্থা, ঐ ঠিকৃ,-ও রকম না হ’লে কি এই বুনো বয়ারকে বাগিয়ে । নেওয়া যায় ? কেমন হে বাবু কালকেতু ! যা ব’লে গেছলেমূ—তা হ’ল তো ? তা ঘোটলে তো? আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হ’য়েছেল—চোকে কাণে যে দেখতে পাওনি। এখন ? এখন আর কে রাখে ? ব’লে গেছলুম—যদি হরি দত্তের বেটা হই-জয় দত্তের নাতি হই, তা হ’লে তোমার ঐ হাতীঘোড়া হাটে বেচাবে, গুজরাট দখল করবো, আর ঐ তোমার ফুল্লরাকে হাটে হাটে পসরা দিয়ে মাংস বেচাবো, তবে ছাড়বে। তা হ’ল তো ?