বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইংরেজের জয় বা আরকট অবরোধ ও পলাশী.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাশী । ce বস্থায় ঘাসিটী বেগম সিরাজুদ্দৌলার মহাশত্রু হইয়া উঠিয়াছিলেন । পিতার মৃত্যুর পূর্বে তিনি বিধবা হন। ইতিপূর্বে এক্রাম উদ্দৌলারও মৃত্যু হইয়াছিল। বেগমের আর কেহই ছিল না। কেবল “এক্রামের একটী মাত্র শিশুপুত্র জীবিত ছিল। ঘাসিটী তাহাকে বাঙ্গালার শাসক-পদে বসাইবার সঙ্কল্প করেন ; এই জন্য তিনি সিরাজুদ্দৌলার শক্র হইয়া দাড়াইয়াছিলেন । তিনি জানিতেন যে, সিরাজুদ্দৌলা আলিবর্দী খার প্রাণীপেক্ষ প্রিয়-ঃ ।

  • আলিবর্দী সিরাজুদ্দৌলাকে সিংহাসন দিয়া যাইবেন,
  • সত্য সত্যই সিরাজুদ্দৌলা আলীবর্দী খাঁর প্রাণাপেক্ষা প্রিয় ছিলেন। বৃদ্ধ আলিবর্দী, দৌহিত্র সিরাজুদ্দৌলাকে এক মুহূর্ত্ত ছাড়িয়া থাকিতে পারিতেন না। একবার তিনি যখন মহারাষ্ট্রদ্বিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন, তখন র্তাহার সহচর আফগান, কর্ম্মচারীরা তঁহার উপর বিরক্ত হইয়া ভঁাহাকে সাহায্য করিতে কুণ্ঠিত হন । সিরাজুদ্দৌলা সে সময় আলিবর্দীর সঙ্গে ছিলেন। একদিন রাত্রি দুই প্রহস্তরের সময়, আলিবর্দী সিরাজুদ্দৌলাকে সঙ্গে করিয়া লইয়া বিরক্ত আফগান-কর্ম্মচারীর দলপতির শিবিরে গিয়া বলেন,-“হয় তোমরা আমাকে ও আমার এই প্রাণাপেক্ষ প্রিয় দৌহিত্রকে বিনাশ করা ; না হয় যুদ্ধে যথারীতি সাহায্য কর।” এ কথায় আফগান কর্ম্মচারীর ক্রোধ বিদূরিত হইয়াছিল। একবার কাহারও কু-পরামর্শে মাতামহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার সংকল্পে সিরাজুদ্দৌলা মুরশিদাবাদ পরিত্যাগ করিয়া আজিমাবাদে গিয়াছিলেন। আলিবন্দী খাঁ এ সংবাদ পাইয়া অত্যন্ত কাতর হন। তিনি সিরাজুদ্দৌলাকে আনিবার জন্য