পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরত্বের দাবী স্নাথে ; ইতিহাসের যাহা উপাদান, জীবনে এমন কিছু থাকা 瓦校1 蜥 普 臀 崇 “ব্রাহ্ম সংস্কারযুগের আদ্যোপান্ত একটা ইতিহাস আছে; পণ্ডিত শিবনাথই তাহা লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। যাহারা ইতিহাস গড়ে, তাহারা প্রায়ই ইতিহাস লিখিবার সময় পায় না। কিন্তু পণ্ডিত শিবনাথ ব্রাহ্ম সংস্কারযুগের ইতিহাস শুধু লেখেন নাই, এই যুগের শেষ অধ্যায়ের ইতিহাস তিনি বিশেষ রকমেই গড়িয়াছেন ; অথচ যতটা গড়িয়াছেন ততটা হয়ত লিখিয়া যাইতে পারেন নাই। সুতরাং ব্রাহ্ম সংস্কার-যুগের এই শেষ অধ্যায়ের ইতিহাস পুনরায় লিখিবার প্রয়োজন হইবে এবং সেই অধ্যায়ে ৬/পণ্ডিত শিবনাথের কর্মজীবনকে বিশদরূপে ফুটাইয়া তুলিতে হইবে। আশা করা যায়, বাঙ্গালার সাহিত্যিকগণ ও বিশেষভাবে ব্রাহ্মসমাজের যুবকগণ পণ্ডিত শিবনাথের স্মৃতির প্রতি এই গুরুতর কর্তব্যটি সম্পাদনা করিতে অবহেলা করিবেন না। ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্রের পর সংস্কার-যুগের ইতিহাসের শেষ অধ্যায়ে পণ্ডিত শিবনাথের কর্মজীবনকে যথাযথ ফুটাইয়া তুলিতে পারিলেই পণ্ডিত শিবনাথের স্মৃতিকে প্রকৃতরূপে সন্মান করা হইবে এবং একটা স্থায়ী মর্যাদাও দেওয়া হইবে। অন্যপক্ষে, পণ্ডিত শিবনাথের স্মৃতিকে অমর্যাদা করিলে আমাদিগকে কলঙ্ক পর্শ করিবে। ভবিষ্যদ্বংশীয়েরা ক্রমে অধিকতর আত্মস্থ হইয়া এই কলঙ্কের জন্য লজিত হইবে। তাহারা আমাদিগের এই অপরাধ মার্জনা করিবে না । 攀 蟾 兼 张浚 带 “সাধারণ ব্রাহ্মসমাজকে নিয়মতন্ত্রের উপর প্রতিষ্ঠা করিয়া, সেই নিয়মতন্ত্রের মধ্যে থাকিয়া, আচার্য শিবনাথ। ১৮৭৮ হইতে ১৯১৯ খৃঃ এই ৪২ বৎসর একাদিক্রমে সাক্ষাতে ও পরোক্ষে এই কেশব-বিরোধী নৃতন সমাজের নেতৃরূপে ইহাকে পরিচালিত করিয়াছেন । এই ৪২ বৎসরের নেতৃত্বের মধ্যে ইতিহাস বা জীবনচরিতে স্মরণযোগ্য কোন প্রতিবাদ তাহার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ উত্থাপন করিবার সুযোগ পান নাই। এইখানেই শিবনাথ চরিত্রের বৈশিষ্ট্য a