পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ইন্দুপ্রভা নাটক । প্রেরণ কৰুন্‌ না কেন । তা হলেই সকল ভাব গতিক বোঝা যাবে । রাজা । বসন্তক, আমি ত তোমাকে পূর্বেই বলেছি, ষে রাজা সত্যবিক্রম অত্যন্ত অভিমানী । সে স্থানে সহসা দূত প্রেরণ কতে আমার কোন মতেই সাহস হয় না । কি জানি, যদি তিনি অগ্রাহ করেন, তা হলে ত আমার মান থাকবেন । সর্পমণির উজ্জ্বল কান্তি দর্শন কল্পে লোকের যেরূপ অবস্থা হয়, আমার ও সেইরূপ হয়েছে । মণিলাভ না হলে শোকে জীবন সংশয় হয়ে উঠে ; আবার দংশন ভয়ে মণি গ্রহণেও সাহসী হয় না । বস । মহারাজ, পশুপতি উমাকে লাভ করবার জন্যে দেবর্ষি নারদকে দূতপদে বরণ কর্যে হিমাচলের নিকট প্রেরণ কল্পে তিনি তাকে কন্যা প্রদান কত্তে যেরূপ ব্যগ্র হয়েছিলেন, রাজা সত্যবিক্রম ও আপনার নাম শুম্লে সেইরূপ হবেন । রাজা । বসন্তক, আমার এমন কি পূণ্য আছে যে, আমি সে অমৃত লাভ কতে পার ব! (দীর্ঘনিশ্বাস । ) বস। মহারাজ, মহৎ ব্যক্তিরা সর্ব্বদাই আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকেন, সেই জন্যে আপনি আপনার গুণ অবগত নন । আপনি রূপে কুমারকে লজ্জা প্রদান করেছেন ; আপনার শাণিত শরনিকর দুষ্টদের রক্তপানে সর্ব্বদা লোলুপ ; আপনার যশঃ কিরণে দশ দিক আলোকময় হয়েছে। তবে যে রাজা সত্যবিক্রম আপনাকে কন্যা অর্পণ করবেন, এতে অণর সন্দেহ কি ? রাজা । তুমি যাই বল ; আমি বেশ বিবেচনা করেছি,