পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о ইন্দু প্রভা নাটক । & যুদ্ধে যাত্রা কল্লেন, তারও কোন সমাচার পেলেম না । পরমেশ্বরের রূপায় যদি তিনি সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে এসে থাকেন, ত হলে আমাকে না দেখতে পেয়ে কত দুঃখ কচ্চেন । হায় ! এখানে এমন ব্যক্তি কি কেউ নাই যে অণমার এই বিপদের সমাচার তার কাছে নিয়ে যায় ? হে শব্দবহ ! আপনি সকল শব্দ বহন করেন, তা এ অনাথিনীর এই দুঃখ-সমাচার অনুগ্রহ কর্যে প্রাণনাথের নিকট নিয়ে যান । আপনাকে লোকে জগজীবন বলে, তা এই উপকার সাধন কর্যে আমাকে জীবন দান কৰুন ! হে বিহঙ্গম কুল ! তোমরা নিশা অবসান হলে দিক দিগন্তরে যাও, তা প্রাণনাথের কাছে গিয়ে আমার ংবাদ প্রদান কর । ( ক্ষণেক নিস্তব্ধ থাকিয় ) তা তোমরা আর এদুঃখিনীর কথায় কর্ণপাত করবে কেন ! বরং আমার দুঃখে দুঃখিত না হয়ে ঘৃণা প্রকাশ করবে ( রোদন ) । নাথ, আপনি যাকে প্রাণ অপেক্ষ স্নেহ কতেন, যাকে সর্ব্বদা মধুর বাক্যে পরিতৃপ্ত কত্তেন, এক্ষণে তার এই বিপদের বিন্দুমা রও জানতে পাচ্চেন না । হায় ! সে ছুরাত্মা যখন সাক্ষাৎ কতান্তের মতন আমার কাছে উপস্থিত হয়, তখন আমি দশ দিক শূন্য দেখি ; আর মনে হয় যে পৃথিবী দ্বিধা হলে তাতে প্রবেশ করি। আমাকে যে সকল কথা বলে, তা শুনৃলে গণ শিউরে ওঠে । হে বিধাতঃ ! আমি আপনার কাছে কি আপরাধ করেছি যে আপনি আমাকে এত যন্ত্রণা দিচেচন ? (মধুরিকার প্রবেশ । ) মধু । প্রিয়সখি, কৈ তুমি কোথায় ? ইন্দু । এই যে ভাই । তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে ?