পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮দশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী । , Ye রেখে কুল খাও কুল যত সাধ লয়। কুলাচারে কুলাচার-ধৰ্ম্ম যেন'রয় ॥ এ কুলের কর্তা ধিনি র্তার নাই কুল। অথচ দিলেন তিনি সকলের কুল । কুল দিয়ে কুল দিয়ে, যে ধরে না কুল। অকুলসাগরে কর, তারে অমুকুল ৷ অকুলে যে কুল দিলে সেই দেবে কুল। কুল কুল কোরে কেন হতেছ ব্যাকুল ? যাহার কৃপায় তুমি খেতেছ এ কুল। তার কাছে নাছি আর এ কুল ও কূল ৷ প্রতিকূলে প্রতি তার নহে প্রতিকুল। সকল কুলের পতি স্বভাব অকুল ৷ মনে যেন মভিমান আর নাহি রয়। কুল শীল যত কিছু তাহে কর লয়। সকলের সার মেয়া ফল অতি খাসা। বিশেষতঃ শীতকালে যদি হয় ডাসা ॥ 蠱 কেবা জানে ভাসা পাকা কেবা জানে কচি। পেয়ারার গন্ধে হয় অরুচির রুচি। স স বীচি দূরে থাক খেলে পরে ছ একেবারে পরিতোষ তৃপ্ত হয় গাল ॥ পাকা ফল পেয়ে পরে বৃদ্ধ লোক যত। চুষে চুষে রস খায় যশ গায় কত । বালকেতে যাহা পায় তাহ খায় কেড়ে । আগে ভাগে হাত লয় মাতৃস্তন ছেড়ে ॥ ডাসার আদর অতি যুদ্ধকের কাছে। ইচ্ছা হয় দিবানিশি হোসে থাকে গাছে ॥ Lরস্তের আহলাদ অতি চৰ্ব্বণের কালে। কোরে অতি মনগতি রস ঢোকে গালে । কিন্তু পায় তার তার রদনবদন । আপনার অন্তহীন হইলে মদন ॥ এ বড় আশ্চৰ্য্য তাব ভেবে জ্ঞানলোপ । মদন হারায়ে অস্ত প্রকাশে প্রকোপ ॥ নপাঠ, নপাঠ হলে, মদন আছাড়ে। অঙ্গহীনে অঙ্গয়াগ কত রঙ্গ বাড়ে ॥ এই বড় মনে খেৰ দগ্ধ হই দ্বেষে । পেয়ার পেয়ারা হলো, বেয়ারার দেশে । সে দেশের খোট্টালোক খেতে নাহি জানে। কি মুখে বিরাজ তুমি করিছ সেখানে ? ছাতু খায় চান খায় ভুট্টা খায় যারা। তোমার মাদর বল কি জানিবে তারা ? বাঙ্গালী আছেন যার উারা সেইরূপ। সঙ্গ-দোষে অঙ্গহীন হয়েছে বিরূপ। স্বদেশের প্রতি আর স্নেহ কিছু নাই। তিনি বড় বাবু হন, বাই যার বা । মোহিত হয়েছে মন মিঠেনের ডলে । আধা ভেরি মেরি বাৎ খোটাচেলে চলে । মাছ ভাত খায় যারা তারা চলে ধেকে । কাজ কি তোমার আর সেপানেতে থেকে ? এদেশে বাঙ্গালী বাবু বায়ুকল্পে দড়। বাড়িবে আদর অতি দর পাবে বড় ৷ সেখানে তোমায় কেহ জিজ্ঞাসা না করে। উঠিবে সোণার থালে বালাখানা ঘরে। আমরা গরীব অতি সোণ রূপা নাই। ফলত সুফল তুমি তোমারেই চাই। আস্বাদন এক রূপ সম সুখ থেতে। তোমারে ধরিব বুকে ছেঁড়াচট পেতে ॥ নিযুত হাজির আমি অজির তলায়। ইচ্ছা করে কোসে খাই গলায় গলায়। ভাসা থেতে থাসা লাগে কত তীয় মুখ। এখন পড়েছে দাত এই বড় দুখ ৷ চৰ্ব্বণের সুখ যত করিলে সংহীর । হার বিধি কোথা গেল সে কাল আমার ? যে মুখে পাতর কেটে করিয়াছি চুর। এখন হইল তার অহঙ্কার দূর। বদন বুখায় হয় রদম বিহনে। অদনের অর্থ আর হইবে কেমনে ? এখন পড়েনি সব সবে গেছে ছটা । উপরে রয়েছে সব নীচে আছে কটা।