পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ সব জাহারে হয় দেহের কুশল । ক্ষীণত বিনাশ করে বৃদ্ধি করে বল ॥ কত মতে শুভ হয় কচ্ছপের মাসে । ৰল-মেধা-স্মৃতিৰুর শোথ-দোষ নাশে ॥ সহজে কোমল অতি নানা গুণধর। রাতছর শুক্রকর নেত্র-হিতকর । শিশিরে মৃগের মাস প্রিয় অতিশয়। রাত হরে অগ্নি করে পাকে লঘু হয় । সন্নিপাত হরে করে শরীর সবল । ছয় রসে অমুকুল মধুর শাতল ॥ ক্লফ পিত্ত হরে করে ত্রিদোষ খণ্ডন। গুমাহ মরি কত গুণ ধরে সুলোচন ॥ কৈলাস-শিখরে থেকে হয়ে হৃষ্টমন। হরিণ (শিব) করেন সুখে হরিণ ভোজন । অতিশয় প্রিয় ভেবে এহ কৃষ্ণতার (হরিণ)। -কতবার লয়েছেন কৃষ্ণ তার তার ॥ মৃগয়ার ছলে বধ কাননে হরিণ। আনন্দে দিলেন তাহ উদরে হরিণ (বিষ্ণু) । এ হরিণ বাসি হলে মন্দ নাহি লাগে। বিচালির সহ জলে সিদ্ধ কর আগে ॥ পরে সেই জল আর খড়গুলি ফেলে। ভাল কোরে ভেজে লও সরিষার তেলে ৷ মেটে আর পচাগন্ধ দূর হবে তায় । রীতিমত রাধে শেষ, ঘৃতামসলায়। পচা মাসে পুই-খাড়া সুধার সমান। জন মুখে থায় ৰে জানে সন্ধান । ক্লাননের নিকটেতে বাণ করে যারা । তাঙ্গ তাজা মৃগমাস খেতে পায় তারা ॥ পোকাপড়া পচামড়া হেথা আসে যত । পচা খেয়ে গুণ আর রচ গাৰে কত ? মাংসভোগ রাজভোগ ভোগের প্রধান। আহারেন্তে নাহি কিছু ইহার সমান। বলকর বুদ্ধিকর সর্বগুণধর। –––.” - a --- ** ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী। من00 O: ৰে মাসে যাহার রুচি ভাই খাও মুখে। কোনকালে নিন্দা-কথা এনোনাকে মুক্ত ছাগ মেষ মৃগ শৃঙ্গী খাবে প্রেমভয়ে। আহারের পাঠ যেন না উঠে উপরে ॥ তাহাতে যে সব দোষ জানেন প্রবীণ । সাবধান-পথে চল সকল নবীন ॥ জীবন হতেছে রক্ষা যার দুগ্ধ থেয়ে। কল্যাণকারিণী সেই জননীর চেয়ে ॥ শাস্ত্রে যাহা মানা করে যুক্তি তায় নান বিচার করিলে যায় সহজেই জানা ॥ নিত্য যারা মাংস থায় হয়ে প্রেমাধীন বলী তার জ্ঞানী তারা সদাই স্বাধীন। যে নর না মাংস খায় পেয়ে কলেবর। বৃথায় শরীরতার বৃথায় উদর ॥ আমিষ-আহারীদলে কোন দুঃখ নাই। মাংসভোজী পশু পার্থী সবল সবাই ॥ ইউরোপ আদি কার ব্রহ্ম ਛੋ চীন r মাংসবলে বাহুবলে সদাই স্বাধীন ৷ ভারতে যখন ছিল ব্যবহার কার । বোদ্ধা ছিল যোদ্ধা ছিল সবে ছিল বীর ধন, মান, যশ, ভাগ্য স্বাধীনতা-মুখ । সমুদয় ছিল নাহি ছিল কোন দুখ ॥ ব্ৰাহ্মণ ক্ষত্ৰিয় বৈশু শূদ্র চতুষ্টয়। ছিলেন আমিষভোজী হিছু সমুদয় ॥ প্রচুর প্রমাণ তার নানা গ্রন্থে আছে। সকলেই প্রিয় ছিল মাসে আর মাছে মাংস মাছ হিতকর যদ্যপি না হবে। বৈদ্যশাস্ত্রে এত গুণ কেন লেখে তবে সব দেশে সূর্ব শাস্ত্রে ভিষক নিপুণ । লিখেছে বিশেষ করে আমিষের গু৭i অমিয-ভোজনে যদি না হইত শিব । বিস্তারিয়া গুণ কেন লিখিবেন শিব ! ষে মানব ঘৃণা করে আমিষ আহারে । পশু বলে সম্বোধন করেছেন তারে।