পাতা:ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের গ্রন্থাবলী.djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਿਚਿਤ੍ਹਾ । سے مچمسی বড়ে । ( ২ রা জ্যৈষ্ঠ, ১২৫৯ সাল । ) জগতের আয়ু তুমি, বায়ু নাম ধব । বায়ু রোধ করি শেষ, আয়ু-বায়ু হর । ভূতের প্রধান তুমি ভূতরাজ নাম। জল স্থল অনল, আকাশ তব ধাম ॥ জলের জীবন নাম, নাম মাত্র সার। তুমি কর জীবনের জীবন-সঞ্চার। আগুনে কি গুণ অাছে দীপ্তি কোথা তার ? তুমি তার সখা দলে করে অহঙ্কার । প্রতিভা প্রকাশ তার, তোমায় পাইলে । অনল সলিল হতো, তুমি না থাকিলে। ক্ষিতির যে গ্যাতি কিছু সুৰ্যশ সৌরভ। সে কৈবল আপনার গুণের গৌরৰ ॥ ধরা ধরে হৃদয়েতে, বস্তু যত যত । তোমার করুণা বিনা, সব হয় হত। স্থাবর জঙ্গম, জীব জন্তু সমুদয় । তোমার চালন বিনা পালন কি হয় ? একবার ধর যদি বিপরীত রীতি । কোথা খুকে ক্ষিতি তার, কোথা থাকে স্থিতি ? আকাশের শোভা শুধু তোমার কারণ যতনে তোমারে তাই করেছে ধারণ ॥ স্বলে জল্পে ঘটে ঘটে থাকির আকাশ। তোমারে হৃদয়ে ধরি বাড়ায় উল্লাস। মৃত্তিকার গন্ধ গুণ তোমার কৃপায় । ভাল মন্দ গন্ধ সব নাসাপথে ধায় ৷ পদার্থের দোষ-গুণ স্ত্রণেতে জানিয়া । উত্তম গ্রহণ করি অধম ছাড়িয় ॥ • আপন স্বরূপ তুমি আপন স্বরূপ। • চিত্ৰৰায়ুর গতি অতি অপরূপ। নিরাকারে চলিতেছ ভয়ঙ্কর চেলে। না জানি কি হতো আর হস্ত পদ পেলে । এই চলি এই বলি চলাবলা যত । কল বল সকল তোমার হস্তগত । তুমি না চালালে নাই চলিবার কল । তুমি না বললে নাই বলিবার বল। কলেরে বিকল করি দেহ কর মাটী । সকল কলের কল তুমি কলকাঠী । এ কলে এ কলকাঠী যে জন চালায়। সাধু সাধু সাধু রে প্রণাম তার পায়। প্ৰণিপাত তোমারে হে প্রতাপী পবন । ভবমাঝে তব সম আছে কোন জন ? কখন কি ভাবে থাক বুঝে উঠা ভার। ত্রিভুবন জয় করে বিক্রম তোমার । বানরের পিতে তুমি অনলের মিতে । ক্ষণমাত্রে পার সব রসাতলে দিতে। উগ্রভাবে একবার হইলে উদয় । , স্বৰ্গ মর্ত্য পাতালেতে ঠেকাঠেকি হয় ॥ " ত্ৰিভুবন রেখে দেও এক ঠাই করে। রবি শশী পড়ে খসি তারা যায় ঝোরে। আকাশের চাল ভেঙ্গে পাতালেতে চালো । পাতালের জল তুলে আকাশেতে ঢালো । ইন্দ্রধাম উপাড়িয়া ফেলে নাগপুরে। নাগপুর ইন্দ্রধামে শৃষ্ঠে উঠে ঘুরে। নীচু গিয়ে উচু উঠে উচু পড়ে নীচে। মাঝে থেকে মাঝখান করে আগে পিছে ৷ স্থিরমূর্তি ধরি তুমি থাক যে সময় । সে সযয়ে স্থিরভাবে থাকে সমুদয়। চরাচরে স্বভাব স্বভাব ভাল ধরে। পেয়ে শিব যত জীব গুণগান করে ॥ মনে কর কি করেছ গত শুক্রবারে। হুলস্থল বাধায়েছ অখিল সংসারে।