পাতা:উচ্ছ্বাস - গৌরীনাথ চক্রবর্ত্তী.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাহ্নবী-তীরে । * ংসার গণ্ডী অতিক্রম করি এমন ক্ষমতা কি আমাদের আছে ? অামাদেব এই গণ্ডী মধ্যে দগ্ধ হইতে হইবে, জন্ম জন্ম এইখানে পড়িযা পড়িয়া পচিতে হইবে, খাবার তৃষ্ণাৰ্ত্ত হইয৷ এই বিষবারিই পান কবিতে হইবে । মা । ংসাবের এই ভীষণ যন্ত্রণার বিষয় যখন ভাবি, তখন জ্ঞানহারা হই, অধীর হইয়া পড়ি , হৃদয় যেন বিদীর্ণ হইয়। যায়, প্রাণ যেন অবসম হইয় পড়ে। ব্যাধির যন্ত্রণা, আত্মাযের বিচ্ছেদ, প্রণযে নৈরাশ্ব, আশার নিন্মুলত, স্বজনেব বৈরিত, বিষযবাসনার ক্ষুদ্রাশয়ত, উচ্চাভিলাষেব নৃশংসতা, লালসার প্রতারণা, অল্প বা অধিক পরিমাণে কে না সহ্ কৰিতেছেন ? কে না এই ঘোর দুঃখদাবানলে দিবানিশি দগ্ধ হইতেছেন ? কে না এই তীব্র গরল পান কবিয়া, বিষম যন্ত্রণায় নিরন্তর নিপীড়িত হইতেছেন ? ওই যে হতভাগ্য প্রাণপ্রতিম প্রিযতমার হৃদয়হারিণী মূৰ্ত্তি খানি অনলে বিসর্জন দিয়া হতাশ অন্তঃকরণে গৃহে প্রত্যাগমন করিতেছে ; ওই যে দূরদৃষ্ট মুমূর্ষ, পুত্রের ব্যাধি-ক্ষি মুখ খানি অবলোকন করিয, পুত্রের মৃত্যুকালোচ্চারিত নৈরাশ্যপূর্ণ উক্তি গুলি শ্রবণ করিয়া, অশ্র বিসর্জন করিতেছে ; হার । হায় । সে হতভাগ্য, * একবারও ভাবে নাই যে তাহার প্রাণপ্রতিমা প্রিয়তম। তাহার “জীবনকালেই তাহাকে অকুল দুঃখসাগরে