§ উচ্ছাস | না ; সৎকৰ্ম্মের সৎসংকল্প ভ্ৰমেও কখনও মনোমধ্যে উদয় হয় না ; ঘোব অজ্ঞানান্ধকারাচ্ছন্ন অন্তঃকরণে জ্ঞানদীপ মুহুর্ভের জন্যও কখন প্রজ্বলিত হয় না। কিন্তু কি জন্য বলিতে পারিন, আমি যখন তোমাব পানে তাকাই তোমাব সৌন্দৰ্য্য রাশিতে বিমুগ্ধ হইয়া পড়ি ; তোমাব জলরাশির অপূৰ্ব্ব গতি অবলোকন করিতে করিতে জ্ঞানহার হইষা পড়ি ; তোমাব কুলুকুলু সুমধুর সঙ্গীত শ্রবণ করিতে করিতে কি এক অভাবনীয মুখ অনুভব কবি ; ংসার ভুলিয়া যাই, মনোমধ্যে উল্লাসের তরঙ্গ খেলিতে আরম্ভ করে, প্রাণ আনন্দে নাচিয়া উঠে, হৃদযতন্ত্রা বাজিয! উঠে, চারিদিকে যেন অমৃতের উৎস ঝরঝবঝঙ্কারে বহিতে থাকে । মা ! আমি এক অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্য্য তোমাতে দেখিতে পাই । আমি তোমাকে এক অনুপম স্বৰ্গীয় রত্বে ভূষিতা দেখি ; যিনি যাহাই ভাবুন, আমার মতে ম| তোমার সেই রত্নটী সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট রত্ন । সেই প্লত্ব আছে বলিয়া মা ! তুমি আমার এত প্রিয—তোমাব রূপবাশি অবলোকন কবিয়া মুগ্ধ হই, তোমাকে দেখিয়। পাগলের মত নৃত্য কবিতে থাকি। তুমি তর তব বেগে চলিয়াছ, যুগ যুগান্তর এই ভাবে চলিতেছ ; দেশ দেশান্তব, নগর জনপদ, পৰ্ব্বত প্রান্তর অতিক্রম করিয়া নিৰ্ব্বিবাদে, নিষ্কণ্টকে, নির্বিঘ্নে, নিরুদ্বেগে, প্রাণ যথা সাহিতেছে,
