পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবজীবনের মূল কোথায় ? ক্ষু - রবিবার, ১৮ই মাঘ, ১৮১৯ শক ; ৩০শে জানুয়ারি, ১৮৯৮ খৃঃ । হে বন্ধুগণ, প্রিয় ভাইগণ, স্নেহের ভগিনীগণ, আবার তোমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র কুটীরে আসিয়াছ। এই জন্য আপনাকে ধন্ত মনে করিতেছি। এই ক্ষুদ্র কুটীরে এমন যথেষ্ট স্থান নাই, যাহাতে তোমাদের অসুবিধা না হয়, এমন বিছানা নাই, যাহাতে তোমাদিগকে আদর করিয়া বসাইতে পারি। আপনাদের ভালবাসা ও সদ্ভাবগুণে আমাদের এই ক্রটি ক্ষমা কর । - - আমাদের এই যে মিলন, ইহা শুভ মিলন। এই উপলক্ষে বিধাতাকে বিশেষভাবে ডাকিয়াছি। তোমাদের সঙ্গে মিলিত প্রাণে এই কয়দিন বিশেষ আগ্রহে তাহার পূজা বন্দনা করিয়া পরম কৃতার্থতা লাভ করিস্নাছি । অনেক বলিয়াছি । আর বলিতে ইচ্ছা হয় না। তথাপি তোমাদের ইচ্ছা ও ঈশ্বরের অভিপ্রায় বুঝিয়া আজও কিছু বলিতেছি – । মানুষের সঙ্গে বৃক্ষের বড়ই সাদৃশু। ক্ষুদ্র বীজ হইতে বৃক্ষের উৎপত্তি ; কিন্তু বৃক্ষমূলে অনুসন্ধান কর, বীজের চিত্ত্বও আর পাইবে না, বৃক্ষ দ্বীজকে আশ্রয় করিয়া স্থিতি করে না । বৃক্ষ মাটীর উপর স্থিতি করে, মাটীর উপর দণ্ডায়মান থাকে ; কিন্তু নিগূঢ় অনুসন্ধিৎসার দ্বারা আলোচনা কর, দেখিবে যে, মৃত্তিকাও বৃক্ষের স্থিতি ও দণ্ডায়মান থাকার হেতু নহে। বৃক্ষমূলই বৃক্ষের স্থিতির কারণ। এই মূল কোথায় ാ থ শাস্তিকুটীরে প্রদত্ত উপদেশ । ാ