পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানবজীবনের মূল কোথায় ? ミ> উপাসনা কর, ঈশ্বরসহবাস লাভ কর, আর তোমার সঙ্গে কাহারও মিলে না, ইহা অসম্ভব কথা । আগুণ আগুণকে নিৰ্ব্বাণ করে না, তাহাকে বৃদ্ধি করে। জলই আগুণকে নির্বাণ করে । শক্রতার দ্বারা শত্রুতার বিনাশ হয় না। ক্ষমাই শক্রতার মহৌষধি। এই কয়দিন যেমন একত্র হইয়া প্রাণের আবেগে উপাসনা করিলে, ভাবে আচ্ছন্ন হইয়া সঙ্গীত করিলে, তেমন করিয়া কিছুকাল থাকিয়া দেখ, এই উৎসবের দেবপ্রসাদ জীবনসম্বল করিয়া পরম যতনে ইহা হৃদয়ে রক্ষা করিয়া দেখ, আবার সেই দিন ফিরিয়া আসে কি না। ইহা নিশ্চয় বলিতে পারি, বৃক্ষের সমস্ত ডাল কাটিয়া ফেলিলেও যদি তাহার মুল থাকে, এবং প্রকৃতিতে যদি রস থাকে ও ঈশ্বরের ভাণ্ডারে যদি শিশির থাকে, আকাশে যদি জল থাকে তবে বৃক্ষ বাচিবেই বাচিবে । তেমনি যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, বিবেক থাকে, প্রার্থনা থাকে এবং ঈশ্বরের কৃপা থাকে, তবে এই ধৰ্ম্মমণ্ডলী থাকিবেই থাকিবে। আমরা আচার্য্যের কথা শুনিতাম ; ইহা খোসামোদ নহে। তাহার চরিত্র ও ধৰ্ম্ম আমাদিগকে এমন আকর্ষণ করিত যে, আমরা তাহার কথা না শুনিয়া পারিতাম না । কাগজে লিখিয়া দলাদলি করিয়া মণ্ডলী হয় না দেখিয়াছি, এবং এই বুঝিয়াছি, যেমন একটা বৃক্ষ হইতে শত শত বৃক্ষের উৎপত্তি, তেমনি একটী বিশ্বাসী, বিবেকী ও সরল প্রার্থনাশীল জীবন হইতে শত শত জীবনের স্বষ্টি। এই প্রকারে উৎপন্ন যে শত শত আত্মা, তাহাই নববিধানের মণ্ডলী । - অতএব তোমাদিগের নিকট আজ উৎসবের শেষ দিনে, সকলের আগ্রহ আনন্দ ও শান্তির সমতার দিনে সর্বশেষ এই কথা বলিলাম । ইহাতে মণ্ডলীর উৎপত্তি, স্থিতি ও বৃদ্ধির উপায় কি তাহা বুঝিতে