পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সত্যধৰ্ম্ম । চরণে সমাগত হইতেছে। এই সময়ে যে আন্দোলন শুনিতেছি, তাহার কি অর্থ নাই ? একজন মনুষ্যের নামে যে যত ঘৃণা বিদ্বেষ উথলিত করিতে চায় করুক, কিন্তু যে সত্য তিনি প্রচার করিতেছেন, সেই সত্যের জয় কে নিবারণ করিবে? সমুদয় পৃথিবীকে তাহ অধিকার করিবে। সেই সত্যের আলোক আমরা হস্তে ধারণ করিতেছি । এখন জিজ্ঞাসা করি, এই যে সত্য, ইহাতে আমাদিগের বিশ্বাস কতদূর ? এ দেশের এবং অন্ত দেশের লোক ত সত্যের মহিমা শুনিয়া চমকিত হইল ; কিন্তু হে ব্রাহ্ম ! বল দেখি, তুমি এই সত্যকে কতদূর সত্য বলিয়া বিশ্বাস কর । এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মধ্যে জীবন, মৃত্যু। তাহাতে এমন বস্তু আছে যাহার জন্য মনুষ্য শরীরের রক্ত দিতে পারে। যদি এ বিশ্বাস তুমি না কর, তাহ হইলে বৃথা তোমার ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, বৃথা তোমার ব্রহ্মমন্দির । ঈশ্বর যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আমাদিগকে দিয়াছেন, তাহা একটি রত্ন তুল্য। ইহা বক্তৃতার বিষয় নহে ; ইহা মৃত্যুর বিষয়, জীবনের বিষয়। এই যে ঈশ্বরের মূৰ্ত্তি, ইহা হৃদয়ের ধন। যিনি রক্ত দিয়া তাহার চরণ ধৌত করেন, তিনিই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বুঝিয়াছেন। আর যাহারা কেবল মুখে সত্যের মহিমার পরিচয় দেয় এবং যাহাদিগের জীবন তাহার কোন সাক্ষ্য প্রদান করে না, ধিক্ তাহাদিগকে । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে সমধিকরূপে প্রচারিত হইতেছে না কেন ? এই জন্য যে, ঈশ্বরের সত্যে ব্রাহ্মদিগের সত্য বলিয়া বিশ্বাস নাই। হান্স, ইহা অতি দুঃখের বিষয়! দয়াময় ঈশ্বর কি এখান হইতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে অন্ত দেশে লইয়া যাইবেন ? বঙ্গদেশ অনেক অত্যাচার সহ্য করিয়াছে। ইহার তুর্ভাগ্যের কথা বলিতে গেলে স্বদেশহিতৈষীর নয়নে অশ্রজল ধরে না । সে কথা আমরা সকলেই জানি। এক্ষণে আমরা এই বিশ্বাস করি যে, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বঙ্গদেশের কল্যাণ সাধন করিবেন। কই ব্রাহ্মগণ ! তোমাদিগের \o)