পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি SS কল্যাণ জন্য । শ্রাদ্ধাদির अछ्छीन করিয়া থাকেন । অতএব নিঃসংশয়ে প্রতীতি হইতেছে, আত্মজ্ঞান মনুষ্যমাত্রেরই আছে । যখন নিরাকার আত্মাকে লোকে জানিতে পারে, বিশ্বাস করিতে পারে, তখন যিনি বিশ্বের প্রাণ, অবলম্বন, সকল নিয়মের নিয়ন্তা, তিনি নিরাকার হইলেও কেন লোকে উপলব্ধি করিতে পারবে না । চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়যোগে যেমন জড়বস্তু প্রত্যক্ষ হয়, সাধকদিগের বিশ্বাসনেত্রে সেই প্রকার ঈশ্বর প্রত্যক্ষ হন, আধ্যাত্মিক সাধনাতে ভক্তগণ ঈশ্বরকে জ্ঞান ও শক্তির আধার প্রেমময় মহান অনন্ত রূপে হৃদয়ে উজ্জ্বল ভাবে প্রত্যক্ষ করেন । যাহার সাধন করেন নাই, তাহাদিগকে ইহা বুঝাইয়া দেওয়া কঠিন । সাধনা—উপাসনা, প্রার্থনা করিয়া দেখ, সত্য কি না । অন্ধ ব্যক্তি জগৎ দর্শন করিতে পারে না, তাহ বলিয়া কি জগৎ অসত্য ? হৃদয়চক্ষুঃ কলুষিত বলিয়া যাহার নিরাকার ঈশ্বরকে দর্শন উপলব্ধি করিতে পারে না, তাহার জন্য ঈশ্বর অসত্য নন। কেহ কেহ এই প্রকার বলিয়া থাকেন, ঈশ্বর নিরাকার বটেন কিন্তু সময়ে সময়ে কাৰ্য্য উদ্ধারের জন্য তিনি সাকার হন । ইহা ভয়ানক ভ্রান্তি । যিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, যাহার ইচ্ছামাত্র বিশ্বের সৃষ্টি হইয়াছে, রক্ষা হইতেছে ; তিনি প্রতিহিংসার বশ হইয়া কোন দৈত্য বধ করিবার জন্য নিকৃষ্ট জড়দেহ ধারণ করিবেন, ইহা