পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিদান শান্তিকুটার, কলিকাতা বৃহস্পতিবার; ১১ই মাঘ, ১৮১৬ শক, ২৪শে জানুয়ারী, ১৮৯৫ খ্ৰীষ্টাব্দ ( অপরাহ্ন ) আমাদের এ ধৰ্ম্মেও কি বলিদানের ব্যবস্থা আছে ? ব্রাহ্মধৰ্ম্মে নরবলির কথা কি উঠিতে পারে ? আমাদের ব্ৰহ্ম-পূজাতে কি রক্তপাতের বিধান হইয়াছে ? বলিদান কাহাকে বলে ? ছাগ-কণ্ঠ ছিন্ন করা, মেষাদিকে বিনাশ করা, অশ্ব-মেদ, গো-মেদ, ইহাই কি বলিদান ? উৰ্দ্ধবাহু হইয়া হস্তকে শোষণ করা, গ্রীষ্মের ভয়ানক রৌদ্রে চারিদিকে আগুন জালিয়া বসিয়া থাকা যদি বলিদান, কি তপস্যা হয় তবে যে সে লোক সহজেই তাহা সম্পন্ন করিতে পারে ; ইহা অপেক্ষা যদি উচ্চতর, বিশুদ্ধতর কোন বলিদানের ব্যবস্থা থাকে তাহ জানিতে চাই । আমার বিচারে যাহারা নিজ হস্তকে শঙ্কুচিত করিয়া সমুদয় স্থখ দুঃখ সেই পরম নিয়ন্তী, হৰ্ত্তা, কৰ্ত্তা, বিধাতার হাতে সমর্পণ করে, যাহারা নিজের প্রাণ রক্ষার ভার পর্যন্ত নিজ হস্তে রাখে না ; কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা পূর্ণ