ঘষ্ঠেইধ্যায়ঃ। অতঃপরং প্রবক্ষ্যামি প্রাণিহত্যাসু নিষ্কৃতিম। পরাশরণ পূৰ্ব্বোক্তং মম্বর্থেহপি চ বিস্তৃতাম্।। ১ হংসসারসক্রৌঞ্চাংশ্চ চক্রবাক সকুকুটম্। জালপাদাংশ্চ শরভমহোয়াত্রেণ শুধ্যতি ॥ ২ বলাকটিট্রিভানাঞ্চ শুকপারাবতাদিনাম। আটিনাঞ্চ বকনাঞ্চ শুধ্যতে মক্তভোজনাৎ ॥৩ ভাসকাককপোতানাং সারিতিক্তিরিঘাতক । অন্তর্জলে উভে সন্ধ্যে প্রাণায়ামেন শুধ্যতি ॥ ৪ গৃঞ্জপ্তেনশিখি কনিপাতনে । অপকাশী দিনং তিষ্টেৎ ত্রিকালং মারুতাশন: , , বৰ্ত্তণীচটকানাঞ্চ কোকিলাখঞ্জরীটকান । লাবকান রক্তপাদাংশ্চ শুধ্যন্তে নক্তভোজনাৎ ॥ ৬ কারগুবচকোয়াণাং পিঙ্গলাকুররশ্ব চ। ক্ষে টাকুসা চ শুধ্যতে শিবপূজনাৎ ॥ ৭ আচরণ করে, তাহারা নিশ্চয়ই অল্পায়ু ও নিরয়| هچـد 1 ہوچ stim পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত ॥ ৫ ॥ যষ্ঠ অধ্যায় । অতঃপর প্রাণিহত্যাপাতকে কিরূপে মুক্তি লাভ করা যায়, তাহার বিবরণ কহিতেছি । পরাশর এই সকল কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছেন এবং মনুসংহিতায়ও সবিস্তারে কথিত হইয়াছে। হংস, সারস, বক, চক্ৰবাক, কুকুট, জালপাদ (একপ্রকার হংসবিশেষ ), শরত,—এই সকল প্রাণী হত্যা করিলে এক দিন এক রান্ত্রি উপবাস করিয়া শুদ্ধি লাভ করিতে পারে। বলাক, টিটিভ, শুক, পারাবত, আটি, বক প্রভূতি পক্ষী বধ করিলে, দিবসে উপবাসপূর্বক রাত্রিতে আহার করিলে শুদ্ধি লাভ করিতে পারে। ভাস, কাক, কপোত শারী, ভিত্তির বিনাশ করিলে প্রাতঃকালে ও সায়ংকালে জলমধ্যে দাড়াইয়া প্রাপায়াম করিলে শুদ্ধি লাভ করিতে পারে। গৃধ্র, ঞ্চেন, ময়ুর, কুম্ভীরাদি গ্রহ, স্বর্ণচাতক, উলুক এ উনবিংশতি-সংহিত । ভেরুগুপ্তেনভাসঞ্চ পারাবতকপিঞ্জলান। পক্ষিণামেব সৰ্ব্বেষামহোরান্ত্রেণ শুধ্যক্তি ॥ ৮ হত্বা নকুলমাঞ্জারসর্পজগরডুগুভান। রুশর ভোজয়েদ্বিপ্রান লৌহদণ্ডঞ্চ দক্ষিণম্ ॥৯ শল্পকৗশশকাগোধ্যমস্যকুৰ্ম্মাভিপাভনে । বুস্তাকফলভোক্ত চ হাহোরাত্রেণ শুধ্যতি ॥ ১০ বৃকজম্বুকঋক্ষণাৎ তরক্ষণাঞ্চ ঘাতনে। তিলপ্রস্থং দ্বিজে দদ্যাস্বায়ুভক্ষে দিনত্রয়ম || ১১ গজগবয়তুরঙ্গাণাং মহিষোষ্ট্রনিপাতনে। শুধ্যতে সপ্তরাত্রেণ বিপ্রাণাং তৰ্পণেন চ ॥ ১২ মুগং কুরুং বরাহঞ্চ অজ্ঞানাদ্যদ্ধ ঘাতয়েৎ । অফালকৃষ্টমশ্নয়াদহোরাত্রেণ শুধ্যতি ॥ ১৩ এবং চতুষ্পদনাঞ্চ সৰ্ব্বেষাং বনচরিণাম। অহোরাত্রোধিতস্তিষ্টেজপন বৈ জাতবেদসমূ। ১৪ কারগুব, চকোর, পিঙ্গল, কুরর ও ভারদ্বাজ পক্ষী বিনাশ করিলে শিবপূজা করিয়া শুদ্ধি লাভ করিতে পারে। ভেরুগু, শ্রেন, ভাস, পারাবত, কপিঞ্জল এই সমুদয় এবং অন্তান্ত পক্ষীর প্রাণ নাশ করিলে এক অহোরাত্র উপবাস করিয়া সেই পাপ হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারে। নকুল, মার্জার, সর্প, অজগর, ডুণ্ডুভ, এই সমস্ত প্রাণী বিনাশ করিলে লৌহদণ্ড দক্ষিণ দানপূর্বক ব্রাহ্মণকে তিলায় ভোজন করাইয়া শুদ্ধি লাভ করিতে পরিবে। শল্পকী, শশক, গোধ, মৎস্য, কুৰ্ম্ম এই সমুদায় প্রাণী হত্যা করিলে এক দিবারাত্র বাৰ্ত্তাকুফল ভক্ষণ করিয়া থাকিলে শুদ্ধি লাভ করিতে পরিবে । বৃক, জম্বুক, ভলুক ও তরক্ষু,–এই সকল জন্তু বিনাশ করিলে, তিন দিন বায়ু ভক্ষণ করিয়া ব্রাহ্মণকে একপ্রস্থপরিমিত অর্থাৎ দীর্ঘ প্রস্থে এক হস্ত পরিমিত পাত্রের ৬৪ চতুঃষষ্টিতম অংশ পরিমিত পাত্রের একপাত্র তিল প্রদান করিয়া শুদ্ধি লাভ করিতে পরিবে। গজ, গবয়, তুরঙ্গম, মহিষ, উঃ, এই সমুদয় জীব হত্যা করিলে সপ্ত রাত্রি উপবাসপূৰ্ব্বক ব্রাহ্মণদিগকে পরিতুষ্ট করিয়া পাপ হইতে মুক্তিলাভ করিতে পরিবে ; মৃগ, কুরু, বরাহ, এই সকল প্রাণী হত্যা করিলে একদিন অপক্ক দ্রব্য ভক্ষণ | সমুদয় প্রাণীকে যে অজ্ঞানপূর্বক বধ করে, সে এক করিয়া পরে রাত্রে বায়ু ভক্ষণ করিয়া থাকিবে। দিবারাত্র লাঙ্গল দ্বারা আকৃষ্ট শস্য ভক্ষণ করিয়া বগুণী, চটক, কোকিল, খঞ্জ, লাবক, রক্তপাদ এই পাপ হইতে নিষ্কৃতি পাইবে। এইরূপ বনচর অস্তান্ত সকল প্রাণী বধ করিলে, দিবসে উপবাসী থাকিয় | চতুষ্পদ জন্তু বধ করিলে এক দিবারাত্র উপবাস রাজত্বে আহার করিলে শুদ্ধি লাভ করিতে পারে। করিয়া বহ্নিবীজ জপ করিলে শুদ্ধি লাভ করতে
