পাতা:ঋণ পরিশোধ.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( و ) নিকট আপনাকে অঞ্চণী বলিয়া প্রকাশ করে। মহাজনের নিকট বলে যে, “আমি অমুক দিনে আপনার টাকার স্বদ ও অমুক দিনে আসল টাকা পরিশোধ করিব।” কিন্তু নিরূপিত দিনে কিছুই দিতে পারে না। এই প্রকারে দশ কুড়ি বার কেবল মিছা মিছি দিবার কথাই বলে ; কিন্তু দিতে পারে না। এই জন্যই কথিত হইয়াছে যে, “ঋণ করিলেই মিথ্যা কথা বলিতে হয় ।” ৪ । যাবজ্জীবন দাসত্ব। শলোমন রাজার হিতোপদেশে লিখিত আছে যে, “ঋণী মহাজনের দাস হয়।” হিন্দুগণ এমনই অপরিণামদর্শী এবং স্বদের হার এত অধিক যে, কোন ব্যক্তির নাম এক বার মহাজনের খাতায় উঠিলে, আর তাহার রক্ষা পাওয়া ভার হয় । তাহারা ঋণীর নাম কাটাইতে কিম্বা তাহাকে ছাড়িতে চায় না। তাহাদের ইচ্ছা, যেন দুর্ভাগা ঋণী কেবল তাহাদেরই উপকারের জন্য পরিশ্রম করে। তাহারা প্রায়ই নিজের ইচ্ছামত মূল্য ধাৰ্য্য করিয়া রাইয়তের ভূমুৎিপন্ন শস্য আত্মসাৎ করে, এবং ঋণীকে কেবল অনাহার হইতে রক্ষণ করিবার জন্য যৎকিঞ্চিৎ দেয় । এইরূপ কারণে অনেক স্থানে এমনও দেখিতে পাওয়া যায় যে, পিতৃঋণ বংশানুক্রমেই চলিয়। আসিতেছে । ৫ । অবিশ্বস্ততা । কেরাণী, মুহুরী প্রভূতি কৰ্ম্মচারীগণের হস্তে প্রায়ই তহুবীল থাকে । কৰ্ত্ত ব্যক্তিগণ সৰ্ব্বদা এই তহীলের হিসাব দেখেন না। সুতরাং অপব্যয়ী কৰ্ম্মচারীগণ প্রলোভনে পড়িয়া তহবীলের কতক ২ টাকা আত্মসাৎ