পাতা:এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

(৭)

বিহারীকে বসাইয়া দাও; তোমাদের পুরোহিত স্বীকার না করে তুমি তাহাদের পুরোহিত স্বীকার কর; বিবাহে পৌত্তলিক ক্রিয়া না থাকিলে বৈধ না হয় ত বর পক্ষে পৌত্তলিকতা করিবার অনুমতি দাও ইত্যাদি ইত্যাদি। ঈশ্বর কি এত দূর ও আদেশ করিয়াছেন অথবা বিবেক এতদূর বলিয়াছে? প্রশ্ন করিতেই লজ্জা হইতেছে।

 ৫। ইহার পর তাঁহারা বলেন যে কুচবিহারের ডেপুটী কমিশনর কন্যা দেখিয়া মনোনীত করেন। তাহার পর “অক্টোবর মাসের প্রথমে আচার্য্য মহাশয় আপনার মন্তব্য সমুদায় লিখিয়া পাঠাইয়া দেন। এই পত্রে তিনি ১৩টী প্রস্তাব করেন, তন্মধ্যে প্রধান প্রস্তাব কয়েকটী নিম্নে লিখিত হইল; (১) রাজা যে ব্রাহ্ম অথবা একেশ্বরবাদী “থিইষ্ট” তাহা লেখার স্বীকার করিতে হইবে। (২) ব্রাহ্মপদ্ধতি অর্থাৎ পৌত্তলিকতাবিবর্জ্জিত বিশুদ্ধ হিন্দুপদ্ধতি অনুসারে বিবাহ সম্পন্ন হইবে, কিন্তু তাহার সহিত স্থানীয় এমন সকল প্রথার যোগ থাকিতে পারিবে যাহাতে কিছু মাত্র পৌত্তলিকতা নাই। (৩) পাত্র পাত্রী উভয়ে বয়স প্রাপ্ত হইলে বিবাহ হওয়া বিধেয়। যদি তত দিন অপেক্ষা করা না হয় তাহা হইলে আপাততঃ কেবল নির্বন্ধপত্রের অনুষ্ঠান হউক; এবং রাজা ইংলণ্ড হইতে প্রত্যাগমন করিলে বিবাহ বিধিপূর্ব্বক সম্পন্ন হইবে। (৪) ধর্ম্ম সম্বন্ধীয় প্রস্তাব ঠিক রাখিতে হইবে, কোন বিষয়ে অন্যথা হইবে না। কিন্তু যে সকল ব্যাপারে কেবল বালকত্ব কিম্বা নির্ব্বুদ্ধি প্রকাশ পায় তাহা অনুষ্ঠান করিতে চাহিলে বিশেষ আপত্তি করা হইবে