পাতা:এপিক্‌টেটসের উপদেশ - জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
এপিক্‌টেটসের উপদেশ।

তুমি উন্নতির পদে একপদও অগ্রসর হইতে পারিবে না;—যাহারা জীবন্মৃত অবস্থায় আছে, সেই অপদার্থ হতভাগ্য ইতরলোকদিগেরই মত তোমার জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করিতে হইবে।

 ২। অতএব, পূর্ণবয়স্ক পুরুষের যাহা উপযুক্ত, উন্নতিশীল মনুষ্যের যাহা উপযুক্ত—সেইরূপ কাজে এখনি প্রবৃত্ত হও। যাহা কিছু উত্তম বলিয়া জানিবে, তাহাই যেন তোমার জীবনের বীজমন্ত্র হয়। বৃথা কাল হরণ করিবে না। শুভযোগ হারাইবে না; আমাদের এই জীবন মহারণক্ষেত্র। এক দিনের যুদ্ধেই জয় কিংবা পরাজয় হইতে পারে।

 ৩। বিবেক ছাড়া আর কিছুরই প্রতি সক্রেটিসের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল না বলিয়াই তিনি এতটা মহত্ত্ব অর্জ্জন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। তুমি সক্রেটিস না হইতে পার, কিন্তু সক্রেটিসের মত জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ করা তোমার সাধ্যাতীত নহে।

স্মর্ত্তব্য কথা।

 বিপদ আপদের জন্য এই কথাগুলি সর্ব্বদাই তোমার হাতের কাছে প্রস্তুত রাখিবে:—“হে ঈশ্বর, হে বিধাতা, যেখানেই তুমি আমাকে যাইতে বলিবে আমি যেন নির্ভয়ে সেইখানে যাইতে পারি। কুমতির প্ররোচনায় যদি কখন আমার অনিচ্ছা জন্মে, তবু যেন তোমার আদেশ পালনে সমর্থ হই।” “সেই ব্যক্তিই আমাদের মধ্যে জ্ঞানী, সেই ব্যক্তিই দৈব-ব্যাপার সকল বুঝিতে সমর্থ, যে অক্ষুব্ধচিত্তে ও উদারঅন্তঃকরণে ভবিতব্যতার সহিত একটা বোঝাপড়া করিয়া লইয়াছে। “দেবতাদের যাহা ইচ্ছা তাহাই সম্পন্ন হউক। মৃত্যু আমার শরীরকেই ধ্বংস করিতে পারে, আমার আত্মার কোন হানি করিতে পারে না।”