পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५ ९० এলিজিবেথ । আমাদের এ ঘরের জানেল। কিছু অধিক উচ্চ নয়, আমি অনায়াসেই ভিতর দিয়া বাহিরে পড়িতে পারিব এবং বাহির হইয় আপনাকেও নামাইয়া লইব। নিশ্চিত বলিতে পারি আপনি এখান দিয়া নামিতে গেলে আপনার কোন হানি হইবেক না ।” . অতিথি মহাশয় ভাবিয়া দেখিলেন যে এলিজিবেথ পিতৃ মাতুবাৎসল্যে যে প্রকার কৌশলের কথা কছিলেন, তাহাতে তাহার। সকলেই পরস্পর বিচ্ছেদের যাতনার হাতহইতে পরিত্রাণ পাইতে পারেন। মনে মনে এই প্রকার বিবেচনা করিয়া তিনি তাহাতেই সম্মত হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ সেই রূপেই বহির্গমন করিলেন। এলিজিবেথ বন পৰ্য্যন্ত গমন করিয়াই বস্ত্রাদির বোছকাটি স্কন্ধে লইলেন । এবং ক এক পদ চলিয়াই আপনাদিগের কুটীরের অভিমুখে মুখ ফিরাইয়া দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। দর্শন করিবামাত্র অন্তৰ্ব্বাস্পভরে তাহার কণ্ঠদেশ অবরুদ্ধপ্রায় হইয়া উঠিল, এবং নয়নজলে বক্ষঃস্থল প্লাবিত হইতে লাগিল। তৎক্ষণমাত্রই তাহাকে ফিরিয়া অসিতে ছইল। এবং আসিয়াই যে ঘরে তাহার পিত। মাতা শয়ন করিয়াছিলেন, তাহার দ্বারদেশে দাড়াইয়া উৰ্দ্ধদৃষ্টে পরমেশ্বরের নিকট এই বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে প্রার্থন। করিতে লাগিলেন, “ হে অনাথনাথ ! জগদীশ্বর ! আপনি আমার পিতা মাতাকে দয়া করুন, এবং তাছাদের রক্ষণাবেক্ষণ করুন। যদি তাহাদের সহিত দেখা সাক্ষাৎ করা অামার ভাগ্যে অার নাই থাকে, তাছা হইলে তো আর আমি এ স্থলে অ।সিতে পারিব না। অতএব করুণা করিয়া অামার এই সকল প্রার্থনা আপনাকে গ্রাহ করিতে হইবে।” এই রূপ প্রার্থনা করিয়া তিনি পুনৰ্ব্বার বহির্গমনে উদ্যত হইতেছেন, এমত সময়ে দেখিতে পাইলেন যে তাহার