এলিঞ্জিবেখ। ‰ ፃ ¢ পাইলেই একটা নয় একটা বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা।” এলিজিবেথ কহিলেন, “ অামার এমন স্থান নাই যে, আমি .সেখানে থাকি। অনেক অনুসন্ধান করিয়াও কোন আশ্রয় পাইতে পারি নাই।” এই রূপে অতি সরল ভাবে আপনার দীন ভাবই ব্যক্ত করিতে লাগিলেন । কিন্তু এত দুঃসহ কায়ক্লেশ স্বীকার করিয়া যে অসাধারণ সাহস ও বীরতা প্রকাশ করিয়াছিলেন, তজ্জন্য কিছুমাত্র অভিমান প্রকাশ করিলেন না । তাহার এই সমস্ত দুঃখের কথা শুনিয়া সেই আশ্রয়দাতা গৃহস্থের। স্ত্রী পুরুষেই রোদন করিতে লাগিলেন। এবং তাহার সমস্ত বিবরণই সত্য বলিয়। বিশ্বাস করিলেন । ফলে আরোপিত কথা শুনিলে কখন তেমন সাধু লোকের মন লোল হইতে পারে না। এলিজিবেথের বিবরণ তো তাহাদের আরোপিত বলিয়। বোধ হয় নাই । সত্য ও পবিত্র বোধ হওয়াতেই তাকাদের অন্তঃকরণ লোল ও দয়ারসে অর্জ হইয়া উঠিল। এলিজিবেথের কথা শেষ হইবামাত্র সেই ভূম্যধিকারী রোজী মহাশয় উত্তর করিলেন, “ শুন, এই শহয়ে অামার কিঞ্চিৎ ক্ষমত। অাছে, অঙ্গীকার করিতেছি, সেই ক্ষমতা যত দূর পর্যন্ত খাটান সম্ভব, আমি তোমার পক্ষে তাহ। খাটাইতে যথাসাধ্য চেষ্টার ক্রটি করিব না।” এই কথ। বলিবামাত্র তাহার স্ত্রী অমনি অহলাদে পতির হাত দুখানি চাপিয়া ধরিলেন এবং ভঙ্গিক্রমে এমনি ভাব প্রকাশ করি• লেন, যে তাহার পতি যাহা বলিলেন, তাহাতে তিনি সম্মত আছেন। অনন্তর তিনি এলিজিবেথকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ তুমি যে অধিরাজের নিকটে প্রার্থনা করিত্ত্বে আসিয়াছ, ইহার সহায় কে ? এখানে তোমাকে সাহায্য করতে পরিবেন, এমন কোন ব্যক্তির সহিত আলাপ
