পাতা:এলিজিবেথ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ এলিঞ্জিবেথ। এলিজিবেথ পুরুষজাতির রীতি চরিত্র ও আচার ব্যবহার কিছুই অবগত ছিলেন ন সত্য বটে, তথাপি তাহার ধৰ্ম্মানুগত বুদ্ধিতে এখন এমনি বোধ হইল যে, যদি কোন পুরুষ নির্জন দেশে প্রীতি জানায় ও স্পষ্টরূপে সেই প্রীতিঘটিত কথা বাৰ্ত্তা কয়, তাহা হইলে স্ত্রীলোকের পক্ষে একাকিনী তাহার সহিত অধিক ক্ষণ বিরলে থাকা কদাচ কৰ্ত্তব্য নহে । মনে মনে এই রূপ চিন্তা করিয়া এলিজিবেথ সেই ভজন মন্দিরহইতে বহির্গত হইবার জন্য উদ্যত হইলেন, এবং তখনি অমনি দ্বার পর্য্যন্ত চলিয়া আইলেন। ন্মোলফ ভাবদ্বারা তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া সবিনয় সম্বোধনে কহিতে লাগিলেন, “ ভদ্ৰে ! এলিজিবেথ ! অামি কি তোমার নিকটে অপরাধী হইলাম, ধৰ্ম্ম সাক্ষী আছেন এবং পরমেশ্বরের শপথ করিয়াও কহিতেছি, আমি তোমাকে যেমন ভাল বাসি তেমনিই সম্মান করি। দৃঢ় বাক্যে কহিতে পারি, তুমি আমাকে জন্মাবচ্ছিন্নে আর এ কথার উত্থাপন না করিয়৷ মরিতে বলিলেও তাছাতে দ্বিরুক্তি করিব না, তখনি তাহাতে সম্মত হইব । যদি অামার মনের ভাব এমন হয় তবে আমি কিরূপে অথরাধী হইলাম * এলিজিবেথ এই কথা শ্রবণ করিয়৷ উত্তর করিলেন, “ন, না, মহাশয় । আপনার কোন দোষ নাই, আপনি এমন কথা বলেন কেন ? আমি আপনার সহিত পিতা মাতার উদ্ধারের বিষয়ে পরামর্শ করিতে আসিয়াছিলাম । আপনিও অনুগ্রহ করিয়া আমার কথা সকল শুনিলেন । কথা বার্তা শেষ হইল, এখন আবার তাঁহাদের নিকট ফিরিয়া যাইতে উদ্যত হইতেছি এই মাত্র।” স্মোলফ কছিলেন, “তবে ভাল এখন তুমি কৰ্ত্তব্য সাধনে অনায়াসেই যত্ন করিতে পার। তুমি পিতৃকাৰ্য্য বিষয়ে পরামর্শ করিবার