পাতা:ওপারের কথা.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ কািললি ওৱেল, ও কাপড়ে-হাগা বেলটী-একটা কথা শুনে অমনি মন-মর্যা হ’লি! ওরে, তুই আনন্দময়ী হ’য়ে নিরানন্দময়ী হ’লি ! না রে না-তুই কোন দোষে দোষী নয়। তবে কি জানিস মা-তোর এ হাবাতে ছেলে 'ঘরপোড়া গরু কি না, তাই লাল মেঘটা দেখলেই শিউরে উঠে । আর এক কথা মা, তুই এজন্মে ও দোষে দোষী না হ’লেও, যা দেখায়েচেন তাইতেই ধারণা হ’য়েচে যে, তোর | এবারকার ভোগটা পূৰ্ব্ব কৰ্ম্মের জন্যে। তাই মা উলুটে পালুটে তোকে শাসাতে ব’লে দেয়। এটাই তাল তোর প্ৰতি প্ৰাণের টানের লক্ষণ-নয় কি মা ? মা-বাপ ছেলে-মেয়েকে প্রাণ ঢেলে ভালবাসেন। কিন্তু দরকার হ’লে ছেলে-মেয়ের ভালোর জন্যেই চোখ রাঙান বা একটু আধটু চড়টা চাপড়টা দেন। তবেই ত ছেলে-মেয়ে ঢিটু থাকে ! আর এক কথা মা-কোন সাধক-সাধিকার সঙ্গে প্ৰাণের টান জন্মে গেলে সেই টান হ’তে দেহের টানটাও দাড়িয়ে, যাবার আশঙ্কা। এমনি অ-জানতে এই টান দাঁড়ায় যে, দু’ জনে কোথায় এসেচে বুঝতে পারে না। কিন্তু তখনই বুঝতে পারে,-যখন তারা পাহাড়ের শৃঙ্গ হ’তে “খডে’ অর্থাৎ নিম্নতম গহবরের ভিতর এসে পড়ে ! তখন সে জন্মে কা কথা-আবার দু’তিন জন্মেও সেই শৃঙ্গে উঠবার সুযোগ পায় না।