পাতা:ওপারের কথা.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের কথা سراسراS ওমা-তুই কোনও জন্মে। এই রকম পড়েছিলি। কিন্তু মা, শ্ৰীগুরুর কৃপায় এবার মহা সুবাতাস ব’হেচে । তাই তোর জীবনতরী পালভারে হেলতে দুলতে ভবনদীর পরপারের দিকে ছুটেচে । আ মারি মরি, তরীর কি গতি! তরীতে দু’চাৱটে বোঝা থাকলেও, সেগুলোর ভার শ্ৰীহরি নিজকরে নিয়েচোন। তবে নিৰ্ভভেনলি পালের রাশিটা তোর হাতে দিয়ে রেখেচোন,-সেটাও ভাল কৌশল ! সেই চক্রীর এ চক্র কেন,-এ কথা প্ৰাণে জগতে পারে। সাধক-সাধিকার উৎ- পাছে এই কথা নিয়ে আবার মাথাটাকে ಗ್ಲ: গুলিয়ে ফেলিস, তাই একটু ভেঙ্গেই কথাটা বলা যাক-তবে অল্প কথায় । আচ্ছা মা জিজ্ঞেস করি,- যদি কোন ছেলে-মেয়ে জন্ম হ’তে শিশু-কাল ভোর কোলে কোলে ফেরে, তাহ’লে তার চলৎশক্তি কি তেমন আর দশটা ছেলে-মেয়ের মত হয় ? পোড়-খাওয়া ছেলে-মেয়েগুলোই দশজনের একজন হয় না কি ? ওমা,- দশবার পোড় খেয়ে পটু হ’লেই, পূৰ্ব্ব চেষ্টার ও সিদ্ধির দৌলতে দশানন বা দশভূজা হওয়া সম্ভব। আর এককথা,- তোর নির্ভরতা ও ধৈৰ্য দেখেই ত আরো দশজনে শিখবে। আর তুই যখন শিখে নিবি ও ভয় ভেঙ্গে যাবে, তখন তুই ইহ ও পূর্ব পূৰ্ব্ব জন্মে র্যাদের কাছে ঋণী আছিস-শ্ৰীগুরুর বলে বলীয়ান হ’য়ে তাদের দশজনকে পার ক’বৃবি। i ওমা-মানুষ ‘আপনি ও কোপনীর’। ভাবনা ভেবে ম'রে,