পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দক্ষিণরায়

 চাটুজ্যেমশাই মুখ খিঁচাইয়া ভেংচাইয়া বলিলেন- ‘দ্যাক্ষিণরায়! তোমার ম্যাথা। গ্যাল্পোটা তুমিই ব্যালো -না, আমি আর ব'কে মরি কেন।'

 উদয় খুশী হইয়া বলিল- 'নগেন-মামার ঐ মস্ত দোষ, মানুষকে কথা কইতে দেয় না। আমার শালীর পাকাদেখার দিন –'

 চাটুজ্যে অস্থির হইয়া রলিলেন—'আরে গ্যালো যা! একজন থামলেন তো আর একজন পোঁ ধরলেন! যা — আমি আর বলব না।'

 বিনোদবাবু বলিলেন—'আহা কেন তোমরা রসভঙ্গ কর! ব্রাহ্মণকে বলতেই দাও না।'

 চাটুজ্যে বলিতে লাগিলেন—'বকুলালবাবু উঠনে দেখলেন— ব্রহ্মার হাঁস শিবের ষাঁড় বিষ্ণুর গরুড় কেউ-ই নেই, শুধু এক কোণে একটি লাল বাইসিকেল ঠেসানো রয়েছে। হেঁকে বললেন—কোন্ হ্যায়? টেলিগ্রাফপিয়ন সিঁড়ির দরজায় ধাক্কা দিতে গিয়েছিল, এখন সামনে এসে বললে—তার হ্যায়।

 কিসের তার? বকুবাবুর বুক দুরুদুরু ক’রে উঠল কই, তিনি তো লটারির টিকিট কেনেন নি। তবে কি গিন্নীর কি ছেলেপিলের অসুখ? আজ বিকেলেই তো

৯৩