পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কজ্জলী

 ‘কাঠ-ফাঠ জানি নে বাবা। পষ্ট দেখলুম বাদি-পোতাব গামছা খাটো ক’বে পরা, তার নীচে নেমে এসেছে গোলাপী কলাগাছের মতন দুই পা, মোজা আছে কি নেই বুঝতে পাবলুম না। দেহযষ্টি কথাটা এতদিন ছাপার হরফেই পড়েছি, এখন স্বচক্ষে দেখলুম, —হাঁ, যষ্টি বটে, মাথা থেকে বুক-কোমর অবধি একদম চাঁচাছোলা, কোথাও একটু উঁচুনীচু টক্কব নেই। সঞ্চাবিণী পল্লবিনী লতেব নয, একবাবে জ্বলন্ত হাউইএব কাঠি। দেখে বড়ই ভক্তি হ'ল। কপালে হাত ঠেকিযে বললুম—সেলাম মেমসাহেব।

 ফিক ক'রে হাসলেন। পাকা লঙ্কার ফাঁক দিয়ে গুটিকতক কাঁচা ভুট্টাব দানা দেখা গেল। ঘাড় নেডে বললেন –ঘুৎ মর্নিং।

 মেম নৃত্যপবা অপ্সবাব মতন চঞ্চল ভঙ্গীতে এসে বেঞ্চে বসলেন, আমি কাঁচুমাচু হযে চেযাব ছেডে উঠে পডলুম। মেম বললেন – সিট ডাউন বাবু, ডবো সৎ।

 দেবীব এক হাতে ববাভয়, অপর হাতে সিগারেট। বুঝলুম প্রসন্ন হয়েছেন, আর আমায় মাবে কে। ইংবিজী ভাল জানি না, হিন্দী ইংরিজী মিশিয়ে নিবেদন

১১৬