পাতা:কজ্জলী - পরশুরাম (১৯৪৯).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কচি-সংসদ্

 কেষ্ট। আমার সিস্টেম হচ্ছে— প্রেমকে একদম বাদ দিয়ে কোর্টশিপ চালাতে হবে, কারণ প্রেমের গন্ধ থাকলেই লুকোচুরি আসবে। চাই —দু-জন নির্লিপ্ত সুশিক্ষিত নরনারী, আর একজন বিচক্ষণ ভুক্তভোগী মধ্যস্থ ব্যক্তি যিনি নানা বিষয়ে উভয় পক্ষের মতামত বেশ ক’রে মিলিয়ে দেখবেন। আমি একটা লিস্ট করেছি। এতে আছে— বেশভূষা, আহার্য, শয্যা, পাঠ্য, কলাচর্চা, বন্ধুনির্বাচন, আমোদপ্রমোদ ইত্যাদি তিরেনব্বইটি অত্যন্ত দরকারী বিষয়, যা নিয়ে স্বামীস্ত্রীর হরদম মতভেদ হয়ে থাকে। প্রথমেই যদি এইসব মোকাবেলা হয়ে যায় এবং অধিকাংশ বিষয়ে দু-পক্ষের এক মত হয়, আর বাকী অল্পস্বল্প বিষয়ে একটা রফা করা চলে, তা হ’লে পরে গোলযোগের ভয় থাকবে না। কিন্তু খবরদার, গোড়াতেই প্রেম এসে না জোটে, ত হ’লেই সব ভণ্ডুল হবে। শেষে যত খুশি প্রেম হ’ক তাতে আপত্তি নেই। এতদিন চলছিল—কোর্টশিপ, আর আমার সিস্টেম হচ্ছে—হাইকোর্টশিপ।

 আমি। কোর্ট-মার্শাল বললে আরও ঠিক হয়। সিস্টেম তো বুঝলুম, কিন্তু এমন পাত্রী কে আছে যে তোমার এই এক্সপেরিমেণ্টে রাজী হবে? তবে তুমি যে

১৬৭