নিবারণ বলিল—‘দেখুন মৌলবী সাহেব, আমরা বাবাজী দুটোকে তাড়াবই তাড়াব। যদি সুবিধে হয় তো আজই। কিন্তু একলা পেরে উঠব না। আপনি আর দারোয়ানজী সঙ্গে থাকা চাই।’
ফেকু। মার-পিট হোবে?
নিবারণ। আরে না না। তোমাদের কোনও ভয় নেই। কেবল একটু চিল্লাচিল্লি করতে হবে। পারবে তো?
জরুব'। আলবৎ। জান কবুল। কিন্তু মনিব যদি গোসা হন? নিবারণ বুঝাইল, মনিবের চটিবার কোনও কাবণ থাকিবে না। একটু পরে সে আসিয়া যথাকর্তব্য বাতলাইয়া দিবে।
নিবারণ ও সত্যব্রত বিরিঞ্চিবাবার দরবাব অভিমুখে চলিল। পথে গণেশমামার সঙ্গে দেখা, তিনি ব্যস্ত হইয়া হোমেব আয়োজন কবিতে যাইতেছেন। নিবারণ ও সত্যব্রতকে দেখিয়া বলিলেন— ‘এই যে তোমরাও এসেছ দেখছি, বেশ বেশ। হেঁ-হেঁ, তার পর— বাড়ির সব হেঁ-হেঁ? নিবারণ তোমার বাবা বেশ হেঁ-হেঁ? তোমার মা এখন একটু হেঁ-হেঁ? তোমার ছোট বোনটি হেঁ-হেঁ? সত্য তোমার পিসেমশায় পিসীমা সক্কলে—’
২৫