হইল এবং ইহার প্রতিকার কি, যদি তোমরা কেহ অবগত থাক তবে প্রকাশ করিয়া বল।’
তখন জ্বলন্ত পাবকতুল্য তেজস্বী জামদগ্ন্য মুনি কহিলেন— ‘হে প্রজাপতে, এই পাপাত্মা জাবালিই সমস্ত অনিষ্টের মূল। উহার সংস্পর্শে বসুন্ধরা ভারগ্রস্তা হইয়াছেন।’
সভাস্থ পণ্ডিতমণ্ডলী বলিলেন— ‘ঠিক, ঠিক, আমরা তাহা অনেকদিন হইতেই জানি।’
জামদগ্ন্য কহিলেন— ‘এই জাবালি ভ্রষ্টাচার উন্মার্গগামী নাস্তিক। ইহার শাস্ত্র নাই, মার্গ নাই। রামচন্দ্রকে এই পাষণ্ডই সত্যধর্মচ্যুত করিতে চেষ্টা করিয়াছিল। বালখিল্যগণকে এই দুরাত্মাই নির্যাতিত করিয়াছে। দেবরাজ পুরন্দরকেও এই পাপিষ্ঠ হাস্যাস্পদ করিয়াছে। ইহাকে বধ না করিলে পুণ্যের নষ্টপাদ উদ্ধার হইবে না।’
পণ্ডিতগণ কহিলেন ‘আমরাও ঠিক তাহাই ভাবিতেছিলাম।’
দক্ষ প্রজাপতি কহিলেন— ‘হে জাবালে, সত্য করিয়া কহ তুমি নাস্তিক কিনা। তোমার মার্গ কি, শাস্ত্রই বা কি।’
জাবালি বলিলেন— ‘হে সুধীবৃন্দ, আমি নাস্তিক কি
৭২