এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৮
কথা
কহে, “প্রিয়ে, নিলেম অবসর,
এসেছে ওই মৃত্যুসভার ডাক।”
বৃথা এখন ওঠে হুলুধ্বনি,
বৃথা এখন বেজে ওঠে শাঁখ।
বরের বেশে টোপর পরি শিরে
ঘােড়ায় চড়ি ছুটে রাজকুমার।
মলিন মুখে নম্র নতশিরে
কন্যা গেল অন্তঃপুরে ফিরে,
হাজার বাতি নিবল ধীরে ধীরে-
রাজার সভা হল অন্ধকার।
গলায় মালা, টোপর-পরা শিরে,
ঘােড়ায় চড়ি ছুটে রাজকুমার।
মাতা কেঁদে কহেন, “বধূবেশ
খুলিয়া ফেল্ হায় রে হতভাগী।”
শান্তমুখে কন্যা কহে মায়ে,
“কেঁদো না মা, ধরি তােমার পায়ে।
বধূসজ্জা থাক, মা, আমার গায়ে—
মেত্রিপুরে যাইব তাঁর লাগি।”
শুনে মাতা কপালে কর হানি
কহেন, “হায় রে হতভাগী!”