ভূমিকা প্ৰথম খণ্ডের ভূমিকায় আমরা একবার বলিয়াছি, কবিকঙ্কণ বঙ্গসাহিত্যের
- * anys a Aøsa
সন্ধি-যুগের_কবি। ব্ৰাহ্মণ কবিগণ কর্তৃক সংস্কৃত শাস্ত্র ও কাব্যগ্রন্থগুলি বঙ্গভাষায় অনুদিত হইবার পূর্বে বঙ্গ-সাহিত্য প্রাকৃত-প্রধান ছিল। সেই প্ৰাকৃত-প্রধান প্রথম যুগের সাহিত্যও অতি বিরাট । ময়নামতির গান, গোরক্ষবিজয়, শূন্যপুরাণ, ডাক ও খনার বচন প্রভৃতি-বহু প্ৰাচীন যুগের রচনা সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে । ইহাদের ভাষা মাঝে মাঝে একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর আকুতি বজায় রাখিয়াছো-কিন্তু অধিকাংশই গায়কদের মুখে মুখে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া আসিয়াছে। প্রাচীন রচনার সেই নিদর্শনগুলি অল্প হইলেও তাহারা যুগ-নির্দেশক স্তম্ভ। পাঠককে বহু সাবধানতা ও বিচার-সহকারে পুরাতন রচনা ও পরবর্তী কবিগণের লিপিচিহ্ন-দুয়ের বৈষম্য আবিষ্কার করিয়া-আদি কবিদের রচনাপদ্ধতি নিৰ্ণয় করিতে হইবে । যাহা কিছু দুর্বোধ ও শ্রুতিকর্কশ তাহাই প্ৰাচীনত্বের পরিচায়ক নহে। বস্তুতঃ প্ৰাদেশিক ভাষার দুরূহতা অনেক সময় আমাদিগকে প্ৰতারিত করিতে পারে। এখনও যে সকল প্রাদেশিক ভাষা বঙ্গের সুদূর পল্লীতে ব্যবহৃত হইতেছে, তাহ অনভিজ্ঞ পাঠকের নিকট খুব প্ৰাচীন বলিয়া বোধ হইতে পারে। সুতরাং ভাষা-প্রবাহের আদি হরিদ্বার বহু শৈলকঠিন বাধাসন্ধুলি-তাহার মূল নিৰ্ণয় করা সহজ কাৰ্য্য নহে। কবিকঙ্কণ প্রাচীনতর চণ্ডীকাব্যগুলি হইতে মালুমস্লা গ্ৰহণ করিয়া তদীয় Fyrir yn "A"? dy dy a কুব্য রচনা করিয়াছিলেন; তখন বঙ্গভাষা চাষীদের পর্ণকুটির ডিঙ্গাইয়া
- kar tarr , if IP *
ভদ্রসমাজে সবেমাত্র প্রবেশলাভ করিয়াছে। বিরাটু সংস্কৃত ভাষার অপরিমিত so - o " " . শব্দ-সম্ভার তখন বঙ্গভাষাকে অলঙ্কত করিতে নিযুক্ত হইয়াছে। চাবার al-u - প্ৰাকৃত ভাষা-যাহার মধ্যে কবিত্বের ঝঙ্কার ও প্ৰাণের স্পন্দন ছিল-তােহা
