পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা দুঃখের কথা ছাড়িয়া দিলাম ; কিন্তু আর একটা বালিকার চিরজীবনের সুখ দুঃখের কথাও ছাড়িয়া চলিবে কেন ? বিবাহ করিলেও কি আমি তাহাকে ভালবাসিতে পারিব ? অসম্ভব কমলা ! তুমি যদি আপনার দুঃখ ভাবিয়া আমাকে মাতা ও পিতার বিদ্রোহী হইতে উত্তেজিত করিতে, জীবনব্যাপী বিরহ-বিষাদকে সহাস্যামুখে আলিঙ্গন করিয়া জীবনের পরপারে মিলনের সাধ পূর্ণ করিতে না চাহিতে, তাহা হইলেও ইয়াত তাহা কখন সম্ভব হইত। যে হৃদয়ে তোমার স্থান হইয়াছে তাহাতে আর এ জীবনে কাহারও স্থান হইবে না তুমি না দিলেও তোমার বিপদের সংৰ্বাদ এখানে আসিয়াছে। মনে করিও না। আর সকলের মত আমিও তোমার অসহায় অবস্থার দুঃখে৷ উদাসীন। সুধাকে সেই দেশে একখানা বাড়ী ঠিক করিয়া পত্র দিতে লিখিয়াছি। তাহার উত্তর পাইলেই গিয়া তোমার সঙ্গে দেখা করিব। তুমি প্ৰস্তুত থাকিও ! দেশ ছাড়া ভিন্ন আর কোন উপায় দেখিতে পাই না। এ দেশ, এ সমাজ, তোমাকে আমাকে এ জীবনে কখন মিলিতে দিবে না। তুমি কি চিরজীবন এমনি অসহায় অবস্থাতেই পড়িয়া থাকিবে, আর আমিও কি এমনি করিয়া স্রোতের আবৰ্জনার মত ভাসিয়া ভাসিয়াই বেড়াইব ? ? না কমলা ! তুমি যেন আর ইহাতে অন্যমত করিও না ; আমার ইচ্ছায় বাধা দিও না ।” কমলা পত্ৰখানা পড়িয়া গালে হাত দিয়া ভাবিল,-“এমন ক’রে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা কি তার ভাল হ’বে ?-সে বিচারে আমার দরকার কি ? তিনি যাতে সুখী হ’ন তাই করাই আমার কৰ্ত্তব্য। তিনি কি এ’তেই সুখী হ’বেন?-কেন হবেন না ? হলই বা বিদেশ, Sob