कषज्ञ। সব বিক্রয় করিয়া সেই আনন্দ কিনিতে লাগিল। পত্নীর অঙ্গের দুই একখানি অলঙ্কার। পৰ্য্যন্ত তাহার পানাসক্তির ইন্ধন হইয়া পুড়িয়া উড়িয়া গেল। তরঙ্গিণী কাড়াকড়ি করিয়া ছেলেদের একখানি ভোজনপত্র ও একটি পানিপাত্র রাখিয়াছিল ; হীরালাল তাহাও একদিন বেচিয়া আসিল । * ংসার চালাইবার ভার তরঙ্গিণীর উপরে। সে সুরাসক্ত স্বামীর ভাব দেখিয়া নিজের যে দুই চারিখানি অলঙ্কার অবশিষ্ট ছিল, চুরি গিয়াছে বলিয়া তাহা একদিন লুকাইয়া ফেলিল। তাহাই তাহার সর্বস্ব। এক । একখানি করিয়া সেই গহনা লুকাইয়া বিক্ৰয় করে এবং আপনি অৰ্দ্ধাশনে থাকিয়া কোন প্রকারে সংসার চালাইয়া দেয়। ক্রমে তাঁহাতেওঁ হীরালালের দৃষ্টি পড়িল। পয়সা চাহিলে তরঙ্গিণী যদি বলে,-“কোথা পাব, আমার হাতে কিছু এনে দিচ্ছ কি ?”-হীরালাল রাগ করিয়া বলিয়া থাকে,-“কেন তোমাদের পিণ্ডির যোগাড়টি ত ঠিক হয়, একটি দিনও বাদ যায় না ; আমার বেলাই থাকে না ?”-অগত্যা সেই অলঙ্কারবিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে তাহাকেও আনন্দ কিনিবার জন্য কিছু কিছু দিতে হয়। একদিন যদি হাতে পয়সা না থাকে, অথবা দিতে একটু বিলম্ব হয়, অমনি বাড়ীতে যেন চণ্ডের আবির্ভাব হয় ;-হাড়ী কলসী সব গড়াগড়ি যায়, সরা মালসা সব ভাঙ্গিয়া পড়িতে থাকে, আর তরঙ্গিণীর পৃষ্ঠে যেন কীলের শিলাবৃষ্টি হয়। নিরপরাধ বালক বালিকারাও অব্যাহতি পায় না ; রাক্ষসীর গর্ভজাত ক্ষুদ্র রাক্ষস তাহারা, তাহারাই তা হীরালালের সর্বস্ব খাইয়া ফেলিতেছে, নচেৎ আজ তাহার আনন্দ কিনিবার অর্থনাই কেন ? লার্থী কীল খাইয়াও তরঙ্গিণী যে দিন স্বামীর পায়ে জড়াইয়া কঁাদিতে কঁাদিতে বলে,-“ওগো তোমার পায়ে পড়ি, এ’পাপ নেশা ছাড়! সবই ত [లిపి