পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभना না করিলে বিরাজের নিকটে কলিকাতায় থাকা ভয় না, তাহাতেই দরকার না থাকিলেও সে এমন একটা চাকরী স্বীকার করিয়াছিল যাহাতে উপাৰ্জন যেমনই হউক অবকাশ ইচ্ছামত। পৰ্ব্বাদি উপলক্ষে আদালত বন্ধ হইলেই তাহাকে ও একটা কিছুর ছুতা করিয়া ছুটী লইতে হয় । বাল্যকাল হইতে নিয়ত একত্র থাকায় উভয়ের মধ্যে ভ্ৰাতৃভাব অপেক্ষা মিত্রভাবটাই যেন কিছু বেশী হইয়া পড়িয়াছিল। দুইজনে বাড়ী আসিয়া একদিন সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে গঙ্গার তীরে গি: বসিয়া ছিল। কথায় কথায় সুধাংশুর বিবাহের কথা উঠিল। বিরাজ বলিল, “মায়ের কথা ত শুনিস নি, বাবার কথাও অগ্রাহ্য ক’রেছিস, আবার আমাকেও কথা ক’ইতে মানা ক’রছিয়া! আচ্ছা— তোর আপত্তিটা কি ?” সুধাংশু মুখটা অন্যদিকে ফিরাইয়া বলিল, “আপত্তি আবার কিআমার ইচ্ছে নেই ।” বি । তুই বুঝছিস না ; বিয়ে করাটা যদি সখের হ’ত-স্ত্রী শুধু একটা অনাবশ্যক আসবাব মাত্ৰ হ’ত, তা হ’লে আমি তোকে অনুরোধ ক’রতুম না-এটা দরকার। সু। সে যার ভাত রোধে দেবার লোক নেই, বিষয় আছে-ভোগ করবার কেউ নেই-প্ৰাণ ধ’রে দশের কাজে কি দেশের কাজে দিতে পারে না, শেষ বয়েসে সেবার ত্রুটি হ’বার ভাবনা আছে, কি বিখ্যাত বংশটা শেষ হ’য়ে যাবার আশঙ্কা আছে, তার দরকার। বি। তুই পাগল ! এই সবের জন্যই বুঝি লোকে বিয়ে করে ? সু। আমার ত তাই মনে হয়। বি । না-সুধা ! গৃহধৰ্ম্ম পালনের জন্যেই হিন্দুর বিবাহ ; সংসারে f २१