পাতা:কমলা - আশুতোষ ভট্টাচার্য্য.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कभश! গাড়ামি ক’রে বেড়ান। মাছের হাড়ী ভাঙ্গাবার সুবিধে না পেলে অনেক গুণে বেরালেও হবিষ্যি করে। বিরাজ। সবাই তা ব’লে তোমার মত মনে ক’রো না, হীরুদ ! হীরালাল। ঠগ বাছতে গা উজড়-বাদ ত বড় কারুকে দেখি না, rাদা! পাপ-পুণ্য বা পরকাল ব’লে কিছু আছে-ভগবান ব’লে কেউ আছে, এ বিশ্বাস যদি মানুষের থাকৃত, তা হ’লে কি সংসারে এত পাপ-এত অত্যেচার-এত অবিচার থাকতে পায় ? না-যার বল আছে সে সুব্বলের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে স্বচ্ছন্দে ভোগ ক’বৃতে পারে ? আমার কথা ছেড়েই দাও-আমি ত নাস্তিক । আমি বেদ মানি না, ঈশ্বর মানি না, পরকাল-ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম-পাপ-পুণ্য-কিছুই মানি না, স্বৰ্গ-অপবর্গআত্মা-এ সব অনুমানের কথায় একটুও বিশ্বাস করি না, প্ৰত্যক্ষ যা দেখতে পাই তা ছাড়া আর কিছুই মানি না ; কিন্তু পরের কিছু কেড়ে নিতেও ছুটি না । । নলিনী। আচ্ছ—প্ৰত্যক্ষটা কি দেখতে পাস, হীরু ? হীরালাল। ভোগের জিনিস আর ভোগ করবার শক্তি। দুনিয়াটা কেবল একটা মস্ত ভাগাড়। ভোগের জিনিসগুলো সব মরা জন্তু, মানুষগুলো প্ৰবৃত্তি আর শক্তি অনুসারে শিয়াল-কুকুর-শকুনি ইত্যাদি। কাজের মধ্যে, পরস্পরে খাওয়াখায়ি-যে যতখানি পেটে পূরতে পারেআিম যার মুখ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে। এই নিয়েই দিন রাত কাড়াকাড়ি-টানাটানি মারামারি-ছাড়োহুড়ি চ’লছে। দু’জনের কাড়াকাড়িতে যা প’ড়ে যাচ্ছে, আর একজন তাই কুড়িয়ে নিয়ে পালাচ্ছে; } আবার আর একজন তার মুখ থেকে ছিনিয়ে নেবার সুযোগ দেখছে। এই ত সংসার -এই ত সমাজ ! সংসারের সারনীতি আর সমাজের [७