পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯჯ) কমলা । ভাঙ্গিতে আরম্ভ হইল। যে ভাঙ্গা বেড়া অতি যত্নে সামান্ত উপকরণে আবদ্ধ ছিল, তাহা পুনৰ্ব্বার ভাঙ্গিতে আরম্ভ হইল । যে তৃণখণ্ড উপকূলে বাধিয়াছিল, স্রোত মুখে তাহা আবার ভাসিল । কমল জীর্ণ, শীর্ণ ও ভয়ামক রোগগ্ৰস্থ হুইল । দিনে দিনে কমলার পীড়া বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, বুদ্ধ মাতামহী কমলার রোগের বৃদ্ধি ও তাহার শারীরিক অবস্থার দৈনিক অবনতি উপলব্ধি করিয়া ভাহার পিতা মাতাকে সংবাদ দিলেন, রামধন ও তাছার স্ত্রী যথা সময়ে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। রামধনের হৃদয় যতই কেন কঠিন হউক না, আজি কমলার অবস্থা দেখিয়া তাহার হৃদয়ও বিগলিত হইল । এখন আর কমলার উত্থানশক্তি নাই, কথা কছিতে কষ্ট হয়, জ্বর ত্যাগ হয় না, দিন দিন দুৰ্ব্বল হইতেছে, ডাক্তার দিগকে জিজ্ঞাসা করিলে তাহারাও সাহস দেন না । রামধন বিমর্ষ ও স্তম্ভিত । শু্যামমোহিনীর নয়ন হইতে জল তার শুষ্ক হয় মা । সন্ধ্যাকাল, গৃহমধ্যে একটী সামান্ত দীপ বিকি শিকি জুলিতেছে । কমলা পালঙ্কে শায়িতা, তাহার শিয়রদেশে শ্যামমোহিনী আসীনা। কমলা রোগের যাতনায় অধীর,— একটা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল “ ম৷ ”