পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧g কমলা । গঙ্গাবক্ষে তরঙ্গ ক্রীড় দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম, কিন্তু এখন তাছা বিধতুল্য বোধ হচে । তোমার সহাস্য বদন দেখলে আমি জগতের স্থায়িত্ব বিস্মৃত হই, কিন্তু এখন সে বদনও আমায় তত মুগ্ধ কচ্চে না । তোমার অভাবে যেমন কুমুমের সৌরভ মনে ধরিত না, আতর গোলাপ অঙ্গ দগ্ধ করিত, মনুষ্যের মধুর সঙ্গীতে মন ভুলিত না। অনন্তু নীলিমা সম্পন্ন আকাশ পানে চাহিতাম, প্রকৃতি যেন ছে স্থে শব্দে আমায় দেখিয়া হাসিত, সে হাসি আমার হৃদয়ের প্রতি স্তরে প্রতি কোরে প্রতিশদিত হইত। একদৃষ্টি একমনে আকাশের অসংখ্য নক্ষত্রের প্রতি চাছিয়া থাকিতাম, মনে হইত আমি যদি তারা ছইতাম, তাহা হইলে তুমি যেখানেই থাক, তোমায় দেখিতে পাইতাম । যখন বসন্তের মৃদু অনীল আমার অঙ্গে রঙ্গ সহকারে ক্রীড়া করিত, ওখন মনে হইত আমি কেন মলয় সমীরণ হইলাম না, তাছা হইলে পৃথিবীর যাবতীয় সৌরভরাশি বুকে লইয়া বাত্তারন পথে প্রবেশ করিতাম, তোমার ঐঅঙ্গে সেই শীতল সৌরভ ঢালিয়া দিতাম, তোমার চঞ্চল নিদ্রা প্রগাঢ় করিতাম। তোমার মিলনে আমার সে সমস্ত আশা পরিতৃপ্ত হইয়াছিল, সে সমস্ত আকাঙ্ক্ষ নিবৃত্তি হইয়াছিল। কিন্তু আজি আমার কমলার জন্য কে জানে কেন সেই পূৰ্ব্বরূপ ভাব