পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদাসী। A@ সকল ধীরে ধীরে হৃদয় পথে পুনর্বার উদিত হইল। মনে হইতেছে যদি গগনের পাখি হইতাম, তাছা হইলে ছুটিয়া গিয়া কমলাকে দেখিয়া আসিতাম। যদি আকশের সুর্য্য হইতাম তাহা হইলে কমলার সেই সরলতাময়ী বদন মাধুরী আমার নয়নপথে পতিত হইত, দেখিয়া আমার হৃদয় তৃপ্ত হইত। ভগবতী কিয়ৎক্ষণ মুগ্ধের ন্যায় হরিদাসীর সরল সুন্দর প্রফুল্ল মুখপানে চাহিয়া রহিল। যুবতীর অক্ষয় প্রণয়ের—প্রীতি সাগরের গভীরতার কথা হৃদয়পটে উদিত হইল, মনে মনে বলিল ইহার কাছে পুৰুষের ভালবাসা ছাই ! যুবতীর মুললিত বাকা সুধাপানে ভগবতীর হৃদয় হইতে ক্রিয়ৎক্ষণের জন্ত কমলার ছবি অপস্থত হইল। বিমুগ্ধ হৃদয়ে কত যত্নে, কত আদরে, কত সোহাগে, উস্তান্ত চিত্তে, অবশ হৃদয়ে প্রীতির পূর্ণোচ্ছাসে সুশীতল চুম্বনে হরিদাসীর মন ভুলাইল। তখন প্রেমময়ী হরিদাসী কমল ভুলিল, জগতের স্থায়িত্ব ভুলিল, শিশির-সিক্ত গোলাপের উপর প্রাতঃ স্থূর্যরশ্মি সম্পাতের ন্যায় যুবতীর সেই গোলাপী অধরে মৃত্যু ছসি দেখা দিল, সে হাসিতে যেন প্রেমাক্ষরে কত ভাব, কত কথা স্পষ্টরূপে লেখা ছিল—ভগবতী মনে মনে বলিল আর কেন, মোহিনীর মোহন হাসিতে ভূবিয়া মরিলে হয় না?