পাতা:কমলা - তারকনাথ বিশ্বাস.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা মিটিল। 9°ව কমলা আবার একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল, নয়নযুগল হইতে সবেগে বারিধারা পতিত হইতে লাগিল। প্যার ধীরে কমলার বামহস্ত ধারণ করিয়া বললেন “চুপ কর কাদিও না । ” কমলা প্যারীর হস্ত ধারণ করিয়া আবার একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল, বক্ষ স্কীত হইয়া উঠিল, বোধ হুইল যেন কমলার হৃদয়গত যাতন তার সে খানে থাকিতে অক্ষম, বক্ষবিদীর্ণ করিয়া বাহির হইতে উদ্যত । এই সময়ে শ্বামমোহিনী সেস্থান হইতে উঠিয়া গেলেন, রামধনও তাছার অনুসরণ করিলেন। একমাত্র ছরিদাসী কমলার পাদদেশে উপবেশন করিয়াছিল,—তখন কমল৷ বলিল “ জীবন সৰ্ব্বসাধন, প্ৰাণেশ্বর, আমার মৃত্যুর আর বিলম্ব নাই, কিন্তু আজ আমার বড় আনন্দ । আজ ডোমার সেই মুখ, যে মুখ আমার নিদ্রার স্বপ্ন, জাগ্রস্তের ধ্যান, সেই মুখ দেখিতে দেখিতে মরিব।” কমলার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল, প্যারী ভীত হইয়া বলিলেন " কমল৷ ” কমলা চক্ষু সঙ্কোচ করিয়া কহিল “ আঁ—, কমলার মস্তক ঢলিয়া পড়িল, বলিল “ জল ৷ ” প্যারী কমলার মুখে জল দিলেন, ক্ষণেক পরে কমলা আবার বলিতে লাগিল “ এ জীবনে যন্ত্রণার সীমা ছিলনা,