পাতা:কমলা কাননে কলমের চারার আঁটী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলমের চারার অtটী । 8-0 হস্তাপণ পূৰ্ব্বক এক দৃষ্টে নিরীক্ষণ করত: ) হে গোবিন্দ! হে মধুসূদন ! কি বিপদ এ কোথায় আইলাম এ যে এক মাগী পাগলী দেখিতেছি । মাগী রোগ শুটকী হটাৎ দেখলে ভয় হয়। উঃ আজ কি শঙ্কট উপস্থিত। ঐ যে বলে, বিপদ বিঞ্চদের ও সম্পদ সম্পদের অনুসন্ধান করে, এই শাস্ত্রীয় প্রবাদ কখনই মিথ্যা হয় না। সেই প্রাতঃকাল হইতে ক্রমাগত ঘূরিয়া রেড়াইতেছি, এখনও জলস্পর্শও হ’লো না । যখন যেখানে যাইতেছি, কিবল নানা প্রকার বিভিষিক ভিন্ন আর কিছুই দেখিতেছি না। অতঃপর কিনা এক ফাগী পাগলীর সম্মুখে এসে পড়লেম, এখন দ্যাথ আবার কি হয় । আঃ মাগী কি রোগ, ঠেলা মারলে পড়ে মরে; না খেতে পেয়ে পেটটা যেন সারিদের খোল হয়েচে । মাতায় তেল নাই, চুল গুল যেন শোণের ফেঁসো হয়েছে, চিমটা দিলে মল উঠে, এক থান কাল ছেড়া কাপড় পর সকল গায় ধুল, একেবারে বাহ্যজ্ঞান শূন্ত, এবং এক হাটু ধুলর উপর বসে দুই চোক্‌ বুজে কিবল ভাবচে, কিই ভাবছে যে মাতা মুণ্ড তার কিছুই ঠিকান নাই। আঃ পাগল হওয়া কি পাপ । হা ঈশ্বর ! তোমার কার্য্য বুঝা ভার, তুমি কারুকে পাগল, কারুকে কানা, কারুকে কালা ও কারুকে খোড়া এবং কারুকে বোবা প্রভৃতি জ্ঞানহীন ও বিকলেন্দ্রিয় করিয়া অশেষ দুঃখের দুঃখী করিয়াছ, ও কারুকে আবার দিব্য জ্ঞান ও সবল ইন্দ্রিয় বিশিষ্ট্র করিয়া সৰ্ব্ব মুখে সুখী করিয়াছ।