পাতা:কমলেকামিনী দর্শন.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- দুৰ্ব্বলা । বলি–ও দেবতা। নৈবিদ্যের বাতাসার উপর অতো দৃষ্টি কেন ? লোভ সামলাতে পাচ্ছেন না নাকি ? পূজা শেষ করুন না, তার পর বাতাসা ভিজিয়ে খাবেন, | শরীর ঠাণ্ড হবে । - | পুরোহিত। নাও নাও, আর রসিকতায় কায নেই চের হেয়েছে । - দুৰ্ব্বলী । রসিকতা আর কি হোলো, বাতাসা ভিজিয়ে জল খেতে বল্লেই বুবি রসিকতা হয়, আ মরণ আরকি, থাক, আর ও বাজে কথায় কাজ নাই, এখন দ্রব্যাদি গুছিয়ে নিয়ে পূজায় বসুন। পুরোহিত। দ্রব্যাদির তো জাক জমক ভারি-নৈবিদ্যের ঘটার তো সীমা নাই, ছটাক টেঙ্ক আলোচল, গোট কতক ছোলা, আধখানা রভু ; এক খানা বাতাসা দিয়ে নৈবিদ্য সাজিয়ে এনেছে, এতে এতে জরুরি হুকুম কেন ? সমস্তদিন না খেয়ে না দেয়ে লাভ তো এই (বিমুখ হইয়৷ স্বগতঃ)এইসব দেখেশুনে পূজা আচ্ছ একরূপ ছেড়ে ছুড়ে | দিয়েছি, ভেবে ছিলাম, বড়মানুষের পূজা, বেশী লাভ হবে, দুমাস বোসে সুখ সচ্ছন্দে খাবে, না দেখে অবাক-পৈতৃক যজমান, না রাখলে নয়, তাই রাখতে হয়, নৈলে যে সময় পোড়েছে, এতে আর কিছু নাই,এরচেয়ে মোট বওয়া ভালে, এদিকে নাই ওদিকে আছে, নৈবিদ্যের যত উপকরণ হোক, না হোক, ফুল আর বেলপাতার যোগাড়টা বিলক্ষণ হোয়েছে তা হবে বৈকি, এতো আর কিনতে হয়নি, বাগান থেকে আনলেই হলো,একবার হুকুম কোরে পাঠালেই মালি মাথায় 黨 张