পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ンミbr করুণা ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছেন।” তবে আমরা নিশীথরাত্রিতে এই পুরাতন পুষ্করিণীর তীরে দাড়াইয়৷ শীতভোগ করি কেন ?” “শীতভোগ করিতেই হইবে । এখন ত আর গৃহে ফিরিতে পাইব না ? সারা নগর ও উপনগর অন্বেষণ করিতে হইবে।” “হয় ত ইন্দ্ৰলেখা এখানে দাড়াইয়াছিল ?” “অসম্ভব।” “তবে চল ফিরিয়া যাই ।” উল্কাধারী সেনাগণ পথে ফিরিয়া গেল, ক্রমে উল্কার আলোক বহুদূরে সরিয়া গেল। তখন পুষ্করিণী-তীরস্থিত একটি আম্রবৃক্ষ হইতে পেচকের রব শ্রুত হইল, প্রত্যুত্তরে পুষ্করিণীর জলমধ্য হইতে পেচক ডাকিয়া উঠিল। তখন চন্দ্রসেন আম্রবৃক্ষ হইতে অবতরণ করিয়া পুষ্করিণীতীরে আসিল এবং ডাকিল, “ইন্দ্ৰলেখা !” শৈবালদামের মধ্য হইতে উত্তর হইল, “কে চন্দ্রসেন ?” “হা, পথ পরিস্কার ।” ইন্দ্রলেখা ও হরিবল জল হইতে উঠিয়া তীরে আসিল । চন্দ্রসেন গৈরিক বস্ত্ৰ আনিয়াছিল, তিনজনে তাহা পরিধান করিল এবং নগরাভিমুখে প্রস্থান করিল। প্রভাতে তিনজন জটাজুটধারী সন্ন্যাসী পাটলিপুত্রের রাজপ্রাসাদে বাসুদেব মন্দিরের অতিথিশালায় প্রবেশ করিল। পট্টমহাদেবী তখন বাসুদেবের পূজার আয়োজন করিতেছিলেন, গৈরিক পরিহিত অতিথি দেখিয়া তিনি প্রণাম করিয়া আসন প্রদান করিলেন । একজন তরুণ সন্ন্যাসী তীব্রভৃষ্টিতে র্তাহার দিকে চাহিল। অগ্নি জলিল ।