পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brミ করুণা এমন রূপে দেবতা, গন্ধৰ্ব্ব, কিন্নর, মুগ্ধ হয়, চন্দ্রসেন কোন ছার।” রমণী তখন দৃঢ়মুষ্টিতে শিথিল-বসন ধারণ করিয়া, উচ্চৈঃস্বরে ডাকিতে আরম্ভ করিল, “পিতা, পিতা, রক্ষা কর।” মদ্যপ হাসিয়া কহিল, “নাতিনী, তুমি বড়ই অরসিক ।” * “পিতা, পিতা—” “নাতিনী, পিতার কি আর রক্ষা করিবার ক্ষমতা আছে ? অনন্ত অনুমতি দিলে তবে ত সে রক্ষা করিতে আসিবে o যুবতীর অীৰ্ত্তনাদ শূন্ত প্রাসাদের কক্ষে কক্ষে, অলিন্দে অলিন্দে প্রতিধ্বনিত হইল, কিন্তু কেহই রক্ষা করিতে আসিল না । তখন চন্দ্রসেন দ্বিতীয়বার বস্ত্রাঞ্চল আকর্ষণ করিল, পুণ্ঠবস্ত্রাবরণ মুক্ত হইল । যুবর্তী উভয় হস্তে বক্ষের বসন আকর্ষণ করিয়া ভূমিতে লুটাইয়া পড়িয়া কাতরকণ্ঠে আনকি ,ত লাগিল, “মা, মা, পিতা, রক্ষা কর – যুবরাজ —” যোদ্ধার আলেথ্যের নিয়ে একটি গুরুভার লৌঙ্গনিৰ্ম্মিত গদা পতিত ছিল; সহসী রমণীর দৃষ্টি তাহার উপরে পতিত হইল। সে ক্ষিপ্রগতিতে উঠিয়া গদাগ্রহণ করিল, তথাপি মদ্যপ বস্ত্রাঞ্চল পরিত্যাগ করিল না । তখন রমণী সবলে তাহার মস্তকে গদাঘাত করিল । চন্দ্রসেন চেতন হারাইয়ী ভূমিতে পতিত হইল ; যুবতী ক্ষিপ্ৰপদে কক্ষ ত্যাগ করিয়া পলাইল । তরুণী দ্রুতপদে জনশূন্ত অন্তঃপুরের দীর্ঘ অলিন্দ ও শত শত কক্ষ অতিক্রম করিয়া প্রাসাদের প্রথম চত্বরে উপস্থিত হইল। চত্বর জনশূন্ত, তোরণে প্রতীeার নাই, যুবতী ক্রমশঃ তৃতীয় চত্বরের তোরণে উপস্থিত হইল। তোরণের পাশ্বে পরিখার তীরে, বিল্ববৃক্ষমূলে এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসী উপবিষ্ট ছিল ৷ ভীতিবিহবল তরুণী বৃদ্ধের পদযুগল ধারণ করিয়া মূচ্ছিত হইল। বৃদ্ধ তাঙ্গর চেতনা সম্পাদন করিয়া পরিচয় গ্রহণ করিলেন এবং সমস্ত কথা শুনিয়া কছিলেন, “ম, পাটলিপুত্র তোমার