পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ఆఫ్రో->*éré= বহুদল মুক্তি দিবসের দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইয়াছে তথাপি পুরুষপুর নগরের রাজপথ জনশূন্ত । চারিদিন পাৰ্ব্বত্য পথে নগরহার হইতে স্বাগবাতগণ আসে নাই, কপিশা ও বালীক হণগণ কর্তৃক অধিকৃত, নূতন মহাবলাধিক্কত চন্দ্রসেন নিরুদেশ, মহারাজপুত্র পাটলিপুত্রে, যুবরাজ কোথায় তাহ কেহ জানে না, অসহায় পুরুষপুরবাসী ভরসাইনি হইয়া নগরে অবস্থান করিতেছে। পুরুষপুরে পাটলিপুত্রের সহস্র পদাতিক আছে, তাহারা নায়কশূন্ত, বিষয়পতি মুরাবিহ্বল, কণিষ্কচৈত্যের সঙ্ঘস্থবির নাগরিকগণের একমাত্র ভরসা । দ্বিতীয় প্রহরের শেষভাগে গিরিসঙ্কটের সম্মুখে ধূলিরাশি উত্থিত হইল, বুদ্ধভদ্রের আদেশে নগরতোরণসমুহ রুদ্ধ করিয়া নাগরিকগণ ইষ্টনামস্মরণে প্রবৃত্ত হইল। গিরিসঙ্কটে মেঘের পর মেঘ উত্থিত হইল, ধূলায় পশ্চিমদিক আচ্ছন্ন হইয়া গেল, শত শত, সহস্ৰ সহস্ৰ নাসিকবিহীন খৰ্ব্বাকার হুণ-অশ্বারোহী পুরুষপুরের নগর প্রাকার বেষ্টন করিল। মরণের জন্য প্রস্তুত হইয়া সহস্র মাগধ-সেনা অস্ত্র লইয়া প্রকারে দাড়াইল । লক্ষের সহিত সহস্রের যুদ্ধ সম্ভব নহে, মাগধ-বীরগণ দুই দণ্ড প্রাকার রক্ষা করিয়াছিল, তাহার পর সহস্ৰ সহস্ৰ হুণ চারিদিক হইতে নগরে প্রবেশ করিল। * , নগরের পূর্বপ্রান্তে একটি জনশূন্ত অট্টালিকায় করুণাদেবী ও ঋষভদেব বাস করিতেন । বিপদের স্বচনা দেখিয়া প্রতীহার, প্রহরী, দণ্ডধর,