পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ રર૧ করিলেও আর্য্যাবর্ত রক্ষিত হইবে না ।” তৎক্ষণাৎ পৰ্ব্বতশীর্ষ পরিত্যাগ করিয়া কুমার হর্ষগুপ্ত গিরিশঙ্কটে প্রবেশ করিলেন । ... " যুবরাজের কৃশকায় অশ্ব অৰ্দ্ধদণ্ডমধ্যে র্তাহাকে গিরিশঙ্কটের মুখ হইতে পুরুষপুরের পশ্চিমতোরণে উপস্থিত করিল।” এক হস্তে কোষমুক্ত অসি ও অপর হস্তে সুদীর্ঘ ভল্লগ্রহণ করিয়া তোরণের সম্মুখে যুবরাজ অশ্বের বল্প পরিত্যাগ করিলেন, শিক্ষিত অশ্ব সশব্দে পাষাণাচ্ছাদিত পথে বিশালকায় মুক্ত তোরণে প্রবেশ করিল। স্কন্দগুপ্ত বিস্মিত হইঞ্জ চাহিয়া দেখিলেন, তোরণ, রাজপথ, অট্টালিকাবলী ও নগর জনশূণ্ঠ, তোরণের অদ্ধদগ্ধ ভগ্নকবাটদ্বয় পাশ্বে পতিত আছে! প্রাকারে ও তোরণে শত শত শব ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে, শৃগাল কুকুরগণ তাহা নিশ্চিন্ত মনে ভক্ষণ করিতেছে। ভীষণ যুদ্ধের সমস্ত চিহ্নই বিদ্যমান কেবল নগরে বিজয়ী হণসেনার অস্তিত্বের কোনও লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায় না । কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া যুবরাজ তোরণপথে অশ্বের গতি সংযত করিলেন । অৰ্দ্ধদগুমধ্যে হণ আসিল না দেখিয়া যুবরাজ পুনরায় অশ্ব চালনা করিলেন, অশ্ব করুণার আবাসাভিমুখে চলিল। নগরপ্রান্তে যে অট্টালিকায় করুণাদেবী ও ঋষভদেব বাস করিতেন, তাহার চতুঃপাশ্বস্থিত উষ্ঠান বহু অশ্ব ও মানবের পাদপেষণে বিনষ্ট হইয়াছিল । সেই স্থানে ভামুমিত্রের অশ্ব নিশ্চিন্তমনে বিচরণ করিতেছিল। তাহা দেখিয়া পঞ্চবিংশ পদ দূরে যুবরাজ অশ্ব হইতে অবতরণ করিলেন । আকুলকণ্ঠে তারস্বরে স্কন্দগুপ্ত ডাকিলেন, “ভানু,” পুরুষপুরের পাষাণনিৰ্ম্মিত কঠিন প্রাকারে প্রতিধ্বনিত হইয়া সে আকুলআহবান উদ্যান হইতে ফিরিয়া আসিল । তখন উন্মত্তপ্রায় স্কন্দগুপ্ত ভল্ল পরিত্যাগ করিয়া অসিহস্তে জনশূন্ত অট্টালিকায় প্রবেশ করিলেন । ত্রিতলে আসিয়া যুবরাজ দেখিতে পাইলেন, অলিন্দে নিশ্চল পাষাণপ্রতিমার দ্যায় বৰ্ম্মাবৃত ভানুমিত্র দাড়াইয়া আছে। আবার আকুলকণ্ঠে উচ্চারিত হইল “ভানু!” কিন্তু তাহা গৌড়ীয় মহাবলাধিকৃতের কর্ণকুহরে প্রবেশ