পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○&br করুণা 轉 আশ্রয় গ্রহণ করিতে পারিত। দেখিতে দেখিতে তৃণসেনা আসিয়া পড়িল, চারিদিক হইতে তুণ স্থপ-বেষ্টনী আক্রমণ করিল, শত শত শর ও ভল্পে স্থপ-বেষ্টনীর চিত্রাবলী ক্ষয়-বিক্ষত ইয়া গেল, কিন্তু চূণসেন স্তুপের দিকে অগ্রসর হইতে পারিল না । ক্রমে সন্ধ্যা হইয়া আসিল, তৃণসেনা আক্রমণে নিরস্ত হুইল । তাহারা বনমপো শত শত অগ্নিকুণ্ড প্রজালিত করিয়৷ রন্ধনের উদ্যোগ করিল, স্থপমধ্যে অবরুদ্ধ বুভূক্ষিত উপবাস সাম্রাজ্যের সেনা লোলুপদৃষ্টিতে তাতাদিগের রন্ধন দেখিতে লাগিল । মঙ্গরাজপুত্ৰ গোবিন্দ গুপ্ত ইতঃপূৰ্ব্বে বহুবার আহত হইয়াছিলেন । BBBBS BBB KBB BBB BBB BBBB BB BBBS BBBB BBBS পড়িলেন । তিনি গোল্মিক ও সেনানিগণকে আহবান করিয়া কছিলেন, “বন্ধুগণ, যুদ্ধ শেষ হইয়াছে, গুপ্ত-সাম্রাজ্য লুপ্ত হইয়াছে, বৃদ্ধ গোবিন্দ গুপ্তের সময় শেষ চহয়া আসিয়াছে । অামাকে পরিত্যাগ করিয়া তোমরা আত্মরক্ষার চেষ্টা কর।” ক্লান্ত, আহত, বুভুক্ষপীড়িত মাগধসেনার নায়কগণ বুঝিতে পারিয়াছিল যে যুদ্ধে জয় অসম্ভব, তাহারা কি উত্তর দিধে স্থির করিতে পারিতেছিল না । তাহ দেখিয়া তাঙ্গাদিগের পশ্চাৎ হইতে একজন বৰ্ম্মাবৃত গোল্মিক বলিয়া উঠিল, “বন্ধুগণ, মহারাজ-পুত্র যাহা কহিয়াছেন তাহা সত্য ; তোমরা হয়ত মনে করিতেছ যে বুথ; যুদ্ধে বলক্ষয় অপেক্ষ আত্মরক্ষার চেষ্টা করা শ্ৰেয়ঃ। কিন্তু মনে রাখিও চেষ্টা করিলেই আত্মরক্ষা হইবে না, প্রাণভয়ে ভীত পঞ্চশত সেন অসমবদ্ধভাবে পলায়ূন করিবার চেষ্টা করিলে, তৃণসেন অনায়াসে তাহাদিগকে নিৰ্ম্মল করিবে । মনে রাখিও, পলায়ন করিলে শমনের কবল মুক্ত হইবে না, একদিন মরিতেই হইবে। মনে রাখিও ষে এই বৃদ্ধ আহত শক্তিহীন গোবিন্দগুপ্ত, এতদিন শত শত যুদ্ধে আর্যাবস্তু রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়াছে। আজ দি মাগধসেন এই নিবিড় বনমধ্যে সেই গোবিন্দগুপ্তকে অসহায় নিয়ন্ত্র বিদ্যুৎ পরিত্যাগ করিয়া