পাতা:করুণা - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○むレゲ করুণা বৃদ্ধ অমাতা দামোদরশৰ্ম্ম! ধীরে ধীরে সম্রাটের নিকটে আসিয়া কছিলেন, “পুত্র, বৃদ্ধ হইয়াছি, অদৃষ্টদোমে অনেক দেখিয়াছি, বৃদ্ধ কুমার গুপ্তের রূপলালসার পরিণাম আর দেখিতে চাহি না । স্কন্দ, মন্ত্রণা অসহ, কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য শেস কর, ভস্ম জাঙ্গবী-জলে নিক্ষেপ কর।” f উন্মাদ ভাসুমিত্র সচসা উভয় হস্তে সমাটকে ধারণ করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “ন, না, বিলম্ব কর, মা কি বলিতেছে ? পিতামহ, তুমি কি বধির হইয়াছ ? শুন, শুন, যতদিন ঐ পিঙ্গলবৰ্ণ কেশে সুবণমুকুট দৃঢ় থাকিবে, মাতা ততদিম অটল থাকিবেন । মা বলিতেছেন শুন, না আর শুনিতে চাহি না, তাঙ্গ আর বলি ও না।” ঘৃণায় লজ্জায় উন্মাদ ভানুমিত্র মুখ ফিরাইয়া লইলেন । সহসা মহারাজপুত্রের দেহ রোমাঞ্চিত হইল, তিনি আকুল কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, “ভানু, কি হইয়াছে উন্মাদ কহিল, "বুদ্ধ, তুমি ত তখন জীবিত থাকিবে না, তুমি কি বুঝিবে ? মাতা, আজি কি ইস্তাহ শুনাহঁতে আসিয়াছিলে ? ফিরিয়া যাও, যেখান হইতে আসিয়াছিলে, সেইখানে ফিরিয়া বা ও, আর আসিও না, দূর হও ।” গোবিন্দগুপ্ত পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “ভানু, কি বলিতেছ?” “শুনিয়া কি করিবি, বিধাতা সু প্রসন্ন, সে কলঙ্ককালিমা তোর দেহ স্পর্শ করিবে না। ছি, ছি, ইঠাই কি বিচার ? অদৃষ্ট কি এইজন্য দুর্ভেদ্য কবচের ন্যায় আমাকে রক্ষা করিয়া আসিয়াছে ? স্কন্দ, ও ভস্ম জলে ফেলিয়া দে ।” 象 অশ্র-অন্ধনয়নে উভয় হস্তে সুবর্ণধার গ্রহণ করিয়া স্কন্দ গুপ্ত ধীরে ধীরে জাহ্নবীজলে অবতীর্ণ হইলেন, এবং অতিধীরে সন্তপণে ভস্মরাশি জলস্রোতে নিক্ষেপ করিলেন, দূরে শুষ্ক সৈকতে শত শত সংস্র সহস্ৰ পাটলিপুত্রিক নাগরিক হাহাকার"করিয়া উঠিল, তখন তীরে উন্মাদ ভানুমিত্র গর্জন করিয়া উঠিলেন, তিনি কহিলেন, “শেষ, প্রথম অঙ্ক সমাপ্ত, এইবার